নেছারাবাদ উপজেলায় সারেংকাঠি ইউনিয়নে সাহিদা আক্তার(৪৫) নামে তিন সন্তানের এক জননী স্বামী,সন্তান,নাতি রেখে বিয়ের দাবিতে মেম্বরের ঘরে উঠেছেন। রোববার(৮ মে) রাতে তিনি বিয়ের দাবিতে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর মো: আল-আমীন এর ঘরে উঠে অবস্থান নিচ্ছেন। ঘরে ওঠার পর থেকে মেম্বর আল-আমীন মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছেন। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছ। ওই মহিলার দাবি আল-আমীন তাকে প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ের আশ্বাসে সর্বস্ব খুইয়েছেন। এখন এ পথ ছাড়া তার কোন উপায় নেই।
এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছায়েম জানান, শুনেছি, গত বৃহস্পতিবার মেম্বর আল-আমীন ও একই এলাকার বাবুল মাঝির স্ত্রী সাহিদা এলাকাবাসির কাছে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা খেয়েছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে, সাহিদা কোন উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে দু'দিন ধরে মেম্বর আল-আমীনের ঘরে অবস্থান নিচ্ছেন।
ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মীর বলেন, ওই মেম্বরের সাথে বাবুল মাঝির স্ত্রীর চার বছর ধরে প্রেম চলছে। এর আগেও মেম্বর আল-আমীন কয়েকবার ধরা খেয়েছিল। মেম্বর আল-আমীনের বয়স ৪২ ছাড়ালেও এখনও সে বিয়ে করছেনা। শুনছি পরকিয়া করতে গিয়ে এলাকাবাসির হাতে ধরা খেয়েছে। পরে গতকাল রোববার রাতে ওই মহিলা বিয়ের দাবিতে আল-আমীনের ঘরে উঠেছে।
আল-আমীনের বড় ভাই মো: মোস্তফা বলেন, তার ভাইয়ের সাথে সাহিদার প্রেম আছে। তবে সেদিন (বৃহস্পতিবার) তারা একটু নির্জনে বসে কথা বলছিল। আর কিছু করেনি। বিষয়টি নিয়ে এলাকার কিছু লোক বাড়াবাড়ি করে এতদূর ঘটিয়েছে।
ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য সুচিত্রা রানি বিশ্বাস বলেন, ওই মহিলার তিনটি ছেলে ও স্বামী আছে। তার দুই ছেলে বিবাহিত। এমনকি তার(সাহিদার) ছেলের ঘরেও সন্তান রয়েছে। শুনেছি মেম্বর আল-আমীন এবং ওই মহিলা(সাহিদা) এর মধ্য কি নাকি হয়েছে। এজন্য বিয়ের দাবি করে গতকাল রোববার রাতে সাহিদা আল-আমীনের ঘরে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা রাতে একটা ঘরোয়া বৈঠকে বসি।এমনসময় আল-আমীন প্রকৃতির ডাকের কথা বলে বৈঠক থেকে সটকে পড়েছে। আর ওই মহিলা এখন বলছে আল-আমীন তাকে বিয়ে না করলে তার ঘরেই সে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করবে। তিনি আরো জানান, বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে জানিয়েছি। সে এসে আবার বৈঠকে বসবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি ফোনে জেনেছি। বৈঠকে না বসে আপনাকে আমি কিছুই বলতে পারবো না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন