শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুলাউড়ায় সিঁদ কেটে সাড়ে ৩ বছরের শিশু চুরি : শিশুটিকে উদ্ধারে নেমেছে পুলিশ

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২২, ২:১৪ পিএম

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাতগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রাম থেকে রাতের আঁধারে প্রায় সাড়ে ৩ বছরের এক শিশুকে সিঁদ কেটে চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। চুরি হওয়া শিশুর নাম হাবিবুর রহমান মাহিন।

শিশুর পরিবার ও পুলিশ জানায়, মাহিনের পিতা প্রবাসে থাকেন। রাতের খাওয়া শেষে বাড়ির সকলের সাথে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মা লিজা বেগম। গভীর রাতে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্তবস্থায় শিশু মাহিনকে চুরি করে কে বা কারা নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর লিজা বিছানায় তার ছেলেকে না দেখে খুঁজাখুঁজি শুরু করেন। এসময় তিনি ঘরের ভিতরে দরজা খোলা এবং ঘরের এক পাশে সিঁদ কেটা দেখতে পান। লিজার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে খোঁজাখুজি করেন। শিশুটির সন্ধান না পয়ে তারা বিষয়টি কুলাউড়া থানাকে জানান। ভোর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন জানান, রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামের আকবর মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তারের বিয়ে হয় একউ উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বাঘরিয়াল গ্রামের দুবাই প্রবাসী মর্তুজ মিয়ার সাথে। মর্তুজ মিয়া দুবাই চলে গেলে তার স্ত্রী লিজা আক্তার কৌলায় বাবার বাড়িতে দুই বছর থেকে ছেলে মাহিন কে নিয়ে বসবাস করছেন। সে সুবাধে তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় জুড়ি উপজেলার সজনু মিয়ার সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনার দিন রাত ও এর আগে টেলিফোনে তার সাথে কথাও হয় মজনুর। শিশুটিকে সিঁদ কেটে নিয়ে যাবার সময় ঘরের বাহিরে তার পায়ের একটি জুতা ফেলে যায়। দরজা খুলে শিশুটিকে নিয়ে যাবার সময় ঘরের লোকজন জেগে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে শিশুটিকে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এর সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত ও অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তারা।

এলাকাবাসী রুহুল আমিন বলেন, সন্ধেহ করা হচ্ছে মেয়েটির সাথে ছেলেটির পরকিয়া সম্পর্কের কারনে এমন হতে পারে। মেয়েটির কথা ও মোবাইলের কলের সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছেনা।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষন রায় জানান, চুরি হওয়া শিশুর পিতা মুর্তুজ আলী দুবাই থাকেন। শিশুর মা তাকে নিয়ে তার পিত্রালয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় রাত থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করতে পলিশের পুরো টিম কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তারা বেশ তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রাপ্ত তথ্যমতে তারা দ্রæতই শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন