উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরপর দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিবিসি জানায়, দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পিয়ংইংয়ে অমিক্রন ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তবে কতজন আক্রান্ত হয়েছেন তা বলা হয়নি। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এক ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ থাকায় সীমান্তবর্তী কেসাং শহরে সম্প‚র্ণ লকডাউন আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এর খবরে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে গত দুই বছর ও তিন মাস নিরাপদে রাখার পর আমাদের জরুরি কোয়ারেন্টাইন ফ্রন্টে একটি ছিদ্র দেখা দিয়েছে। এতে দেশের সবচেয়ে বড় জরুরি ঘটনা ঘটে গেছে। ওই খবরে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং এর মানুষ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংস্পর্শে এসেছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা কিংবা সংক্রমণের সম্ভাব্য উৎস নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। বলা হয়েছে, আক্রান্তদের নমুনা গত ৮ মে সংগ্রহ করা হয়। উত্তর কোরিয়ার প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলার উপায় নিয়ে দেশেটির নেতা কিম জং উন ক্ষমতাসীন ওয়ার্কাস পার্টির বৈঠকে আলোচনা করেছেন। সব শহর এবং এলাকায় কঠোর লক ডাউন বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া সংরক্ষিত জরুরি মেডিক্যাল সরবরাহ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন কিম জং উন। বিশ্ব জুড়ে মহামারির দীর্ঘ সময়ে উত্তর কোরিয়া কখনো একজনও করোনাভাইরাস আক্রান্তের কথা স্বীকার করেনি। তবে উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এনিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। বিশেষ করে প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনে ব্যাপকভাবে অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার সময়েও উত্তর কোরিয়ায় একজনও আক্রান্ত না হওয়ায় সেই সন্দেহ গাঢ় হয়। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিনিময় কর্মসূচি এবং চীন থেকে আসা সিনোভাক বায়োটেক ভ্যাকসিনের চালান প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন