শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চাকরির প্রস্তাবে নাখোশ ঢাবির প্রতিবন্ধী সেই শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দেওয়া চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ঝিনাইদহে আমরণ অনশন শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শাহীন আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহীন।
জানা যায়, শাহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ এক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শাহীনের। কিন্তু জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাকে প্রস্তাব করা হয় ডাটা এন্ট্রি করার কাজ। যা তার মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির পক্ষে করা সম্ভব নয়।

এর আগে গত সোমবার সকালে সরকারী চাকরির দাবীতে ঝিনাইদহের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থী। চাকরির আশ্বাস দিয়ে সেদিন রাতে ৯টার দিকে তার অনশন ভাঙ্গান জেলার ডিসি সেলিম রেজা।
শাহীন দাবী করেন, জেলা প্রশাসক তাকে সকল তথ্যাদিসহ জেলা প্রশাসককে মাধ্যম করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পাঠানোর পরামর্শ দেন। সেইসাথে তাকে এও বলা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কোন সুস্পষ্ট পদক্ষেপ না নেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক বেসরকারি পর্যায়ে হলেও তার জন্য একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিবেন। এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তিনি পরদিন তার সব কাগজপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে গেলে তাকে ডাটা এন্ট্রির একটি চাকরির কথা বলেন ডিসি।

শাহীন বলেন, আমাকে একেকটি ডাটা এন্ট্রির জন্য ২৫ টাকা হারে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু এ কাজে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে একজন সহকারী রাখার কথা বলেন। কিন্তু আমি ভাবলাম এ কাজে আমি কতই বা বেতন পাব। আবার সেখান থেকে সহকারীকে কীভাবে বেতন দিব। তাই এই প্রস্তাব আমি ফিরিয়ে দেই।
শাহীন জেলা প্রশাসককে জানান, তিনি শিক্ষক, ট্রেইনার হিসাবে কাজ করতে আগ্রহী এবং এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা আছে। এধরনের কাজ দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই বলে জেলা প্রশাসকও তাকে ফিরিয়ে দেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবের বাইরে তিনি আর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাকরির আবেদনে সাড়া পাননি বলে জানান শাহীন।

এ পর্যন্ত তিনি সরকারী চাকরির জন্য সাতটি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন। যার কয়েকটিতে তিনি ইতোমধ্যে ভাইভায় অকৃতকার্য হয়েছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ কোটা ব্যবস্থা চালু না থাকার কারণে তার মত অনেকে আছেন যাদের চাকরি পাওয়ার বয়সসীমা প্রায় অতিক্রম হওয়ার উপক্রম হলেও, তারা চাকরি পাচ্ছেন না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন