ভোলার দৌলতখানে মানবেতর জীবন কাটছে এক পরিবারের চার প্রতিবন্ধীর। অর্ধাহারে-অনাহারে কাটছে তাদের জীবন। উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের কহিনুর বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে চার জনই প্রতিবন্ধী। এদের মধ্যে একমাত্র ছেলে জাকির হোসেন মানসিক ভারসাম্যহীন। মেয়ে সেফালি বেগম, সেতারা বেগম বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, উম্মে কারিমা বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী।
এদের মধ্যে সেতারা বেগম প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও বাকিরা সরকারি কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না। তাই প্রতিবন্ধী ৪ সন্তানকে নিয়ে চরম সংকটে পড়েছে মা কহিনুর বেগম। স্থানীয়রা জানান, বিধবা কহিনুর বেগমের পরিবারের কোনো উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেই। সরকারিভাবেও সাহায্য পাচ্ছে না। তাই খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে পরিবারটি। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে পরিবারটি ভালভাবে চলতে পারবে। সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি অসহায় ওই পরিবারটির সহযোগিতায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার দাবি এলাকাবাসীর। বিধবা কহিনুর বেগম বলেন, ‘প্রতিবন্ধীর সন্তানদের নিয়ে চরম দুঃখ-কষ্টে দিন পার করছি। সন্তানদের নিয়ে যে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রনায় ভুগছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সরকারি সাহায্য পেলে সন্তানদের নিয়ে বাঁচতে পারতাম।’ ’উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, ‘প্রতিবন্ধী সনাক্তকরণ জরিপ একটি চলম প্রক্রিয়া। উপজেলা গত দুই অর্থবছরে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো বরাদ্ধ প্রদান করা হয়নি। বরাদ্ধ সাপেক্ষে ওই পরিবারের সবাইকে ভাতার আওতায় আনা হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন