শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঢাবির শহীদুল্লাহ হলে শতবর্ষের মিলনমেলা

মায়ার টানে ফিরে আসা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

সাত বছর আগে ছেড়েছে ক্যাম্পাস, হাল ধরেছে পরিবাবের। ব্যস্তময় জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ভুলে গিয়েছে ক্যাম্পাস জীবনের সুখকর স্মৃতি। সাত বছর পর ক্যাম্পাসে ফিরে চোখে ভেসে উঠলো ক্যাম্পাস জীবনের সেসব রঙিন স্মৃতি। প্রিয় শিক্ষাঙ্গণ, প্রিয় বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকদের দেখতে পেরে উচ্ছ্বসিত। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মিলনমেরায় অংশ নেওয়া এক অ্যালামনাইয়ের সাথে আলাপকালে পরম সুখের এমন চিত্র উঠে এসেছে।

ইনকিলাবের এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় ২০০৭-৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলি হায়দারের সাথে। তিনি বলেন, আজ থেকে পায় সাত বছর আগে হল ছেড়েছি। এখন সাইন্স ল্যাবে কর্মরত আছি। কিন্তু এত কাছে হওয়া সত্ত্বেও এই অঙ্গণে আসা হয়নি দীর্ঘ সাত বছর। আজ হল জীবনের প্রিয় বন্ধুদের দেখব বলে মায়ার টানে ফিরে আসা। এসেই যেন চোখে ভাসছে সব স্মৃতি। এমনই হাজারো স্মৃতি চোখে ভেসেছিল গতকালের এই মিলনমেলায় আসা প্রাক্তনদের।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় শতবর্ষের এই মিলনমেলা। হল প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো . নূরুল ইসলাম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী মো . নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমরা ওয়েলফেয়ার জাতীয় কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি। এর জন্য প্রয়োজন ফান্ড। ফান্ডের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতাও প্রয়োজন। এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিতে কী কী কাজ করতে পারি এবং নতুন প্রজন্মকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারি সে বিষয়ে আমাদের চিন্তা থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সবার ওপরে আমাদের দেশ। আমাদের যে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের একটা স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গঠনের। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার সকল পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য, দেশের মানুষকে স্বস্তি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে একটি টেকসই উন্নয়ন দিতে পারি সে অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে আগামী দিনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন দেশ, জাতি ও আগামী প্রজন্মকে সুশৃঙ্খল দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গঠন করতে ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড . মো . আখতারুজ্জামান শতবর্ষের মিলনমেলার আনন্দ ভাগাভাগি করতে হলের সকল শিক্ষার্থীকে সম্পৃক্ত করে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সকলে মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দর্শন। তিনি সকলকে নিয়েই আনন্দ উদযাপন করতেন, শুধু কষ্ট ভোগ করতেন নিজে এককভাবে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতা মোকাবেলায় এবং তাদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য বৃত্তি প্রদানসহ কিছু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে উপাচার্য হল অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন