ভারতে গ্রেফতারকৃত প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নয়াদিল্লী ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোতে (এনসিবি) চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের এনসিবি। রোববার এই চিঠি দেয়া হয়। গতকাল সোমবার পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (এনসিবি) মহিউল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গত বছরের ৮ জানুয়ারী ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ইন্টারপোল থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। সম্প্রতি পিকে হালদার ভারতে গ্রেফতার হওয়ায় তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নয়াদিল্লীর এনসিবিকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে পুলিশের তেমন কিছু করা নেই। আমরা কেবল এনসিবিকে চিঠি লিখতে পারি। আমরা আমাদের কাজ করেছি। এখন যা কিছু করার তা কূটনৈতিক মাধ্যমেই করতে হবে।
ভুয়া কোম্পানী খুলে ঋণের নামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেন পিকে হালদার। ভারতীয় অর্থসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) পশ্চিববঙ্গ থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতারের বিষয়টি রোববার বাংলাদেশ সরকারকে নিশ্চিত করে। এর আগে গত শুক্রবার সারাদিন ধরে ইডির কর্মকর্তারা পিকে হালদারসহ তার সহযোগীদের বিভিন্ন অফিসে হানা দেন এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার করেন। বর্ধমানের কাটোয়া, উত্তর২৪ পরগনা ও দক্ষিণ২৪ পরগনাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পিকে হালদার, উত্তম মিত্র, প্রীতিশ হালদার ও প্রীতিশ হালদারের স্ত্রী ও জামাতা সঞ্জীব হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। রপর কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দপ্তরে নিয়ে পিকে হালদারকে একের পর এক প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় ৪০টিরও বেশি প্রশ্নের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সে অনুযায়ী পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন