শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিলেট মোগলগাঁও ইউনিয়নের ৪৩ টি গ্রামের ১১ হাজার পরিবার পানিবন্দি!

ত্রাণের জন্য হাহাকার

বালাগঞ্জ (সিলেট) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২২, ৯:৪৫ এএম

সিলেটের সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের ৪৩ টি গ্রাম বন্যায় কবলিত। ১১ হাজার পরিবারের লোকজন পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ইউনিয়নের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অধিকাংশ মানুষ নি¤œ আয়ের ও দিন মজুর। এবারের বন্যায় তাদের পরিবার নিয়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে আছেন।

জানা যায়, ভারত থেকে আসা বানের পানিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন সিলেটের সদর উপজেলার ৯৫ বর্গ কি:মি এলাকার মোগলগাঁও ইউনিয়নের ৪৩ টি গ্রাম। এ ইউনিয়নের ১১ হাজার পরিবারের লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে তীব্রভাবে। বেসরকারী বা সরকারী কোন ত্রাণ এখনো তাদের কাছে পৌছেনি। এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জানা গেছে, সরকারী ভাবে মাত্র ৪ টন চাল এসেছে। যা আক্রান্ত ১১ হাজার পরিবারের তুলনায় নিতান্ত অপ্রতুল। তারা সরকারী ত্রাণের আবেদন জানিয়েছেন।

আক্রান্ত এলাকাগুলো হচ্ছে, খালপার, মিরের গাও, ফতেহপুর, ফুলকুচি, বেগমপুর, তালুকপাড়া, লামাপাড়া আকিলপুর, চানপুর, কিত্তারগাও, হাউসা ও যুগিরগাওসহ আরো গ্রাম। এর মধ্যে মোগলগাঁও ইউনিয়নের ৩ ওয়ার্ডের অবস্থা করুন! খালপার, ফতেহপুর মিরের গাও, মোল্লার গাও গ্রামের মানুষের অবস্থা শোচনীয়। ৩ নং ওয়ার্ডের গ্রামগুলোর দক্ষিণে সুরমা নদীর ও উত্তরে ঝিলকার হাওরের পানি দ্বারা বন্দি হয়ে আছেন কয়েকশ পরিবার।
বন্যার পানিতে সকল সড়ক প্লাবিত হওয়াতে জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সুরমার নদীর প্রবল স্রোতে নিমিষেই উধাও হয়ে গেছে কয়েকেটি গ্রাম।

এ সব পরিবারের দিন মজুর মানুষের কাজ না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন তারা। পানি বৃদ্ধির ফলে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে নানা রোগ প্রভাব বিস্তা করছে বলে স্থানীয়রা জানান। বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ রয়েছে। কাচাঘরগুলো ভেঙ্গে পরছে।

৩ নং ওয়ার্ডের খালপার গ্রামের মাওলানা খলিলুর রহমান জানান, এলাকার মানুষ সবাই পানি বন্দি। অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। মানবেতর জীবন যাপন করছেন এলাকার পানিবন্দি মানুষ। আমরা সরকারের কাছে ত্রাণের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরন মিয়া জানান, আমার ইউনিয়নের ১১ হাজার পরিবার বন্যায় আক্রান্ত। সরকারীভাবে ৪ টন চাল এসেছে। আরো ২ টন আসার পথে। কিন্তু যা এসেছে তা নিতান্তই কম। কাকে বাদ দিয়ে কাকে দিব কিছুই বুঝতে পারছিনা। আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র। এর মদ্যে বন্যায় সব নিয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীব যাবন করছেন স্থানীয় বানবাসী মানুষরা। তাদের অবস্থা দেখতে আমি গিয়েছিলাম। করুন অবস্থা দেখে আমি বাকরুদ্ধ। আমি সরকারের কাছে দ্রæত ত্রাণ দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন