জমি বিক্রির দলিল জাল তৈরির অভিযোগে দলিল লেখকসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া মৌজায় ৩০ শতাংশ জমি জাল করায় এ মামলা হয়।
জানাগেছে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ৪নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন এবিএম আসাদুজ্জামান নয়ন। তিনি উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের মৃত আব্বাছ আলীর পুত্র। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. কাজল মিয়া।
মামলার বাদী এবিএম আসাদুজ্জামান নয়ন জানান, ফুলবাড়িয়া মৌজার আরওআর দাগ ১৭৭ যার বিআরএস ৩০৯ দাগের ৪২খতিয়ানে আমার দাদা আব্দুস সাত্তার ৩৫শতাংশ ভূমির রেকর্ডীয় মালিক। দাদা মৃত্যুর পর আমার বাবা আব্বাছ আলী ও চাচা জাহের উদ্দিন এ সম্পত্তির মালিক হন। এরমধ্যে একই দাগ ও খতিয়ানের ৩৫শতাংশের খাতে আমার চাচা জাহের উদ্দিন ৯৬সনের ৮ অক্টোবর ৭১৮৩দলিল মূলে মো. আবু ছিদ্দিকের নিকট ২০শতাংশ, ৯৮সনের ১৪ডিসেম্বর ৮৫৭৮নং দলিল মূলে ১০শতাংশ, ৯৯সনের ২০জুলাইয়ে ৩৯১১নং দলিলমূলে ৪শতাংশ, ২০০৬সনের ২৭মার্চ ৭১৫৫নং দলিলে মো. রুহুল আমিন ও মো. হেলাল উদ্দিনের নিকট ১০শতাংশসহ ৪৪শতাংশ জমি বিক্রি করে যান। যার মধ্যে আমার বাবা সাড়ে ১৭শতাংশ জমি ওয়ারিশান হিসেবে প্রাপ্যতা রয়েছে। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত জাহের উদ্দিনের দু’পুত্র ২০১০সনের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে বিআরএস ৪২খতিয়ান ও ৩০৯দাগের জাল কাগজপত্র তার বাবার নামে তৈরি করে ৩০শতাংশ জমি বিক্রি করেন। এ দলিলে মৃত জাহের উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মান্নান ওরফে চান মিয়া ও তার ভাই তারা মিয়া খতিয়ানভূক্ত সম্পত্তি তার বাবার নামে রেকর্ডীয় মালিক দাবি করে ৬২৭৯নং দলিল মূলে ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সোবানের পুত্র মো. আবু সিদ্দিক, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০) এর নামে লিখে দেন। দলিল সম্পাদন করেন ৪৩৬৩নং সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক আব্বাছ আলী সরকার। তিনি মাওহা ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের মৃত মনফর আলীর পুত্র। মামলায় ক্রেতা-বিক্রেতা, দলিল লেখক ও স্বাক্ষীসহ ৬জনকে আসামী করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দলিল লেখক আব্বাছ আলী সরকার জানান, জমির ক্রেতা-বিক্রেতাগণ যে কাগজপত্র দাখিল করেছেন। সেই অনুযায়ী দলিল সম্পাদন করা হয়েছে। জাল কাগজ সৃজনের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। জমির বিক্রেতা আব্দুল মান্নান চান মিয়া জানান, তার বাবার নামে কোনো বিআরএস রেকর্ড হয়নি। দলিলে কিভাবে তা লেখা হয়েছে তিনি তা জানেন না! তিনি আরো জানান, তার দাদার ৯একর ৪০শতাংশ জমি নিয়ে বন্টন সংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন