খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, একসময় চাষাবাদের বাইরে থাকা বরেন্দ্র অঞ্চল সাপাহারে এখন প্রচুর আম চাষ হচ্ছে। বড় আমের বাজার বলতে এখন সাপাহার। এ অঞ্চলের সুস্বাদু আমের ব্র্যান্ডিং করতে হবে। বিশ্ববাজারে সাপাহারের নিরাপদ আম পৌঁছে দিতে কাজ চলছে।
শুক্রবার (৩ জুন) বেলা ১১টায় সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নিরাপদ উপায়ে আম উৎপাদন, সংগ্রহ, পাকানো, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সুস্থ, সুন্দর ও মেধাবী জাতি গঠন আমাদের উদ্দেশ্য। সে লক্ষ্যে সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে। এরই ধারাবাহিতায় আম চাষিদের নিরাপদ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। যেন তারা ভোক্তাকে নিরাপদ আম পৌঁছে দিতে পারে।
আম চাষিদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কর্মশালায় লব্দ জ্ঞান অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এক একজন কৃষক প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন। আম চারিরা যে ভাষায় সহজে বুঝতে পারে সে ভাষায় বোধগম্য করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সেটা করতে পারলে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য সহজ হবে।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার, সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্জাহান হোসেন ও জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামাণিক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (খাদ্য ভোগ ও ভোক্তা অধিকার) রেজাউল করিম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুল ওয়াদুদসহ স্থানীয় আম চাষি, আম ব্যবসাষি, আড়তদার, খুচরা বিক্রেতা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
কর্মশালায় নিরাপদ উপায়ে আম উৎপাদন, সংগ্রহ, পাকানো, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন