স্বাধীনতা গণমাধ্যমের অধিকার, এটি অনেক দেশেই স্বীকার করা হয় না। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ কিংবা তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার প্রবণতা যথেষ্টই প্রত্যক্ষ করা যায়। চাইবামাত্র তথ্য পাওয়া যেমন সব সময় সব দেশে সম্ভব হয় না, তেমনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও সব দেশে নিরঙ্কুশ ও অবাধ নয়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের মতে, বিশ্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইতোমধ্যে অনেকটা দুর্বল হয়েছে। এটা গভীরভাবে বিচলিত হওয়ার মতো ব্যাপার। বিশ্বের সব অংশেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ভাটা পড়েছে। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের জন্য একটি আতঙ্কজনক পরিবেশ বা আবহ তৈরি হয়েছে। বলা হয়, ‘বিশ্ব নেতারা বৈধ সাংবাদিকতা নিয়ে এক ধরনের নির্যাতনমূলক ভীতি বা মানসিক বৈকল্য সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছেন।’ দেখা যায়, অনেক দেশের সরকারই মাত্রা ছাড়ানো বিতর্কের ভয়ে গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গণমাধ্যমে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচার ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। বৃহদাকার প্রচারযন্ত্রের কাছ থেকেও হুমকি আসছে। হুমকি আসছে আরো দিক থেকে বড় বড় বাণিজ্যিক গোষ্ঠি গণমাধ্যমের মালিকানা দখল করে নিচ্ছে এবং চাপ সৃষ্টি করছে। সরকারের সঙ্গে এই চাপ যুক্ত হওয়ায় জটিলতা আরও বাড়ছে। দেখা যায়, বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কঠোরভাবে এবং কখনো কখনো নিবর্তনমূলকভাবে নিয়ন্ত্রিত। সেখানে দুটি সমস্যা বিদ্যমান। প্রথমত, আইনের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানহানির দায়কে ফৌজদারি অপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহের বিধান করে বিতর্ক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অভাব ক্রমেই বাড়ছে। বলা বাহুল্য, সাংবাদিকরা যদি শারীরিক সহিংসতা, মৃত্যুর হুমকি থেকে মুক্ত থাকতে না পারেন, তাহলে মুক্ত সাংবাদিকতা সম্ভব নয়। সে আশা বাতুলতা মাত্র।
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটা কার্যকর অবস্থায় আছে, তা সংশ্লিষ্টদের যেমন অজানা নেই, তেমনি অজানা নেই পর্যবেক্ষক মহলেরও। অবশ্য সরকারি মহলের রয়েছে ভিন্ন বক্তব্য। সরকারি মহলের অভিমত হলো, এখানে অবাধ তথ্যপ্রবাহ যেমন আছে, তেমনি গণমাধ্যমগুলোও ভোগ করছে স্বাধীনতা। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশ্বাসী নয় এবং নিয়ন্ত্রণ করছেও না। কেউ কেউ এমনও বলে থাকেন, এ যাবৎকালের মধ্যে গণমাধ্যমগুলো সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করছে। মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির দাবিও করা হচ্ছে।
সরকারি মহলের এই দাবি মানতে নারাজ দেশের রাজনৈতিক মহল, বিদ্বৎসমাজ, গণমাধ্যমসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন। তারা মনে করে, দেশে বিদ্যমান নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রে গণমাধ্যমও নিয়ন্ত্রিত। সরকার তার ক্ষমতা সংরক্ষণ ও প্রলম্বিত করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমের ওপর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা একমত যে, কোনো দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না কিংবা নানা নিয়ন্ত্রণের শৃঙ্খলে গণতন্ত্র বন্দি থাকে, তখন সেদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না, আইনের শাসন থাকে না, মানবাধিকার থাকে না, বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে এগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গণতন্ত্র থাকলে এসব থাকে, না থাকলে থাকে না। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিবেচনা প্রয়োগ করলে দেখা যাবে, এখানে গণতন্ত্র বলতে প্রকৃতপক্ষে যা বোঝায়, তা নেই। গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো নির্বাচন। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হলে রাজনীতির চর্চা সুষ্ঠু ধারায় প্রবাহিত ও বিকশিত হতে পারে। নির্বাচনের মাধ্যমেই গণরায়ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। শান্তিপূর্ণভাবে সরকার ও শাসনের পরিবর্তন ঘটে। এই পথটি কার্যত এদেশে রুদ্ধ হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় নির্বাচনসহ যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার কোনোটিই অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। রাষ্ট্রশক্তি ও রাজনৈতিক পেশিশক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থার ওপর দখল প্রতিষ্ঠা করেছে। এর ফলে নির্বাচনের নামে হয়েছে প্রহসন। যারা এই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়েছেন কিংবা যারা নিজেদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দাবি করেন, তাদের নৈতিক অবস্থান ও ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল। তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে বেতোয়াক্কা করেছেন, জনগণের ক্ষমতাকে হরণ করেছেন। কোনো অনির্বাচিত বা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার সব সময়ই একটা অস্বস্তি ও ভীতির মধ্যে থাকে। আর এই অস্বস্তি ও ভীতির কারণে নিয়ন্ত্রণ ও নিবর্তনমূলক ব্যবস্থার প্রতি পক্ষপাত দেখায়, রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, বিরোধীদল দমনে চন্ডনীতি অনুসরণ করে। গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ছাড়াও আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার উপেক্ষা করে। আমাদের দেশে এসব বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে লক্ষ্যযোগ্য। যদি প্রকৃত গণতন্ত্র থাকত তাহলে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত না।
গণতন্ত্রের সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক বিশদ ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। গণতন্ত্রে গণমাধ্যম অপরিহার্য অনুষঙ্গ। গণতন্ত্র না থাকলে স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রত্যাশা করা যায় না। স্বাধীনতা যে গণমাধ্যমের অধিকার, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই সেটা নিশ্চিত করতে পারে। গণমাধ্যম সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধের কাজ করে। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠি স্বাধীন বা মুক্ত গণমাধ্যম বরদাশত করতে পারে না। অনিবার্যভাবে শাসকগোষ্ঠির সঙ্গে গণমাধ্যমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। তখনই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। আমাদের দেশের গণমাধ্যম স্বাধীন নয়, মুক্ত নয়- এ কথা কেবল আমরাই নই, আন্তর্জাতিক মহলও উপর্যুপরি বলছে। গণমাধ্যম কর্মীদের মতে, বর্তমানে গণমাধ্যম যেরূপ নিয়ন্ত্রিত, অতীতে সেরূপ নিয়ন্ত্রণ কখনই লক্ষ্য করা যায়নি। দু’ভাবে প্রধানত গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। প্রথমত, নতুন নতুন নীতিমালা ও আইন করে এবং দ্বিতীয়ত, আইনবহির্ভূতভাবে। শেষোক্ত ক্ষেত্রে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। ফলে সব ধরনের গণমাধ্যমই এক ধরনের সেলফ সেন্সরশিপ অনুসরণে বাধ্য হচ্ছে।
সাংবাদিক হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, গণমাধ্যম বন্ধ, সংবাদকর্মী ও সম্পাদকদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার, হয়রানি ইত্যাদি অতিসাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। হত্যা, নির্যাতন, হামলা, মামলা যা হয়েছে, অতীতে সেরকম দেখা যায়নি। অবশ্য সব সময়ই সাংবাদিকতা পেশা এদেশে অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বিগত বছরগুলোতে তার মাত্রা ও পরিধি বেড়েছে।
গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ কোন পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে, নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা কতটা হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে, তা অনুধাবনের জন্য এডিটরস কাউন্সিলের একটি বিবৃতির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদপত্র ও জাতীয় প্রচার মাধ্যমের পক্ষে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে সংবাদপত্র ও প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার মাধ্যমের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সরকার ও প্রশাসন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংবাদ সংগ্রহ এবং পরিবেশনায় বাধা সৃষ্টি করছে। সংসদে সম্পাদক ও প্রকাশকদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, যা তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ,’ ইত্যাদি।
বিভিন্ন নীতিমালা ও আইন-বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য যে খসড়া প্রবিধান তৈরি করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি উঠেছে। এ প্রবিধান মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রবিধান প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিশ্বের ৪৫টি সংগঠন।
অনেকেরই জানা, অনলাইন নীতিমালা, আইসিটি অ্যাক্ট ইত্যাদি যা কিছুই এ যাবৎ করা হয়েছে, তাতে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যটিই প্রধান হিসেবে উঠে এসেছে। সরকারের নীতি হওয়া উচিত গণমাধ্যমের সুরক্ষা স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করা। অথচ তার উল্টোটিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যমের বিকল্প নেই। যাচ্ছেতাই করার স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর। এই স্বাধীনতা যেমন কেউ চায় না, তেমনি যে কোনো উছিলায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, তার অধিকার হরণ কাম্য হতে পারে না। দেশের প্রয়োজনে ও জনগণের কল্যাণে নিয়ন্ত্রণহীন, বাধাহীন, হুমকিহীন গণমাধ্যমই প্রত্যাশিত।
মুক্ত বা স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের মানুষ সুদীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম করে আসছে। ব্রিটিশ আমলে যখন আধুনিক সংবাদপত্রের উদ্ভব হয় তখন থেকেই এ সংগ্রাম চলছে। সে আমলেও দেখা গেছে, ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠি সংবাদপত্রকে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছে এবং সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা রকম কালাকানুন প্রণয়ন করেছে। সংবাদপত্র বন্ধ এবং সাংবাদিকদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করেছে। পাকিস্তান আমলে সংবাদপত্র দলন এবং সাংবাদিকদের ওপর জুলুম-পীড়নের ধারা আরো খোলাখুলিভাবে প্রত্যক্ষ করা গেছে। পাকিস্তান আমলে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের মতো সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্যও আন্দোলন-সংগ্রাম চলেছে কখনো পাশাপাশি, কখনো একসঙ্গে। এটাই জনপ্রত্যাশা ছিল, স্বাধীনতার পর গণতন্ত্র যেমন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে, তেমনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও নিশ্চিত হবে। এ প্রত্যাশা এত বছরেও পূরণ হয়নি। গণতন্ত্র উপেক্ষিত হয়েছে, সংবাদপত্র হুমকিতে পড়েছে এবং সাংবাদিকরা বিপন্ন দশায় পতিত হয়েছেন। স্বাধীন দেশে সম্পাদক গ্রেফতার হবেন, সাংবাদিকরা হামলা-হয়রানির শিকার হবেন, সংবাদপত্র বন্ধ হবে-এটা কেউ কল্পনা না করলেও এসব ঘটেছে এবং ঘটছে।
গণতন্ত্রের সঙ্গে সংবাদপত্রসহ অন্যান্য গণমাধ্যমের ভাগ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেখা গেছে, যখনই শাসকরা গণতন্ত্রের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে স্বেচ্ছাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, তখনই গণমাধ্যমের জন্য বিপদ নেমে এসেছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, সংবাদপত্র বন্ধ হয়েছে, সাংবাদিকরা অশেষ ঝুঁকি, কষ্ট ও বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। এও এক বড় রকমের দুর্ভাগ্য এই যে, এ পর্যন্ত যেসব সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী নিহত বা নির্যাতিত হয়েছেন, তারা কোনো বিচার পাননি। এখন তো বিচারহীনতার একটি ‘সংস্কৃতি’ই গড়ে উঠেছে। সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিচার হবে, এমন আশা আর এখন কেউ করে না। বলার অপেক্ষা রাখে না, গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রত্যাবর্তন না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আসবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার বিকল্প নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন