ভোক্তা পর্যায়ে সব ধরনের গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ল। সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। রোববার (৫ জুন) ভার্চুয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করেন বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক। অন্যদের মধ্য অংশ নেন কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহী টৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।
আবু ফারুক আরও বলেন, বাড়ছে না যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজি দাম, আবাসিকে একচুলার বর্তমান দর ৯৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০৮০ টাকা করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বর্তমান দর ১২.৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘনমিটার ৪.৪৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ টাকা করা হয়েছে।
যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না করায় কিছুটা স্বস্তির প্রকাশ করেছেন অনেকে। তারা বলেছেন এতে অন্তত অরাজকতার সম্ভাবনা কমে গেল। যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার শঙ্কা থেকে যায়।
সবশেষ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে (২০১৯ সালে) পাইকারি দর প্রতি ঘনমিটার ১২.৬০ টাকা করা হয়। ভর্তুকি দিয়ে ৯.৭০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয় বিইআরসি। নতুন ঘোষণায় গড় মূল্য ১৬ দশমিক ৩০ টাকা করা হয়েছে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির যুক্তি হিসেবে পেট্রোবাংলা বলেছে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে গেছে। যে কারণে স্পর্ট মার্কেট থেকে চড়া দরে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। এ জন্য ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। তবে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ণ কমিটি ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির পক্ষে মতামত দেয় গণশুনানিতে।
ক্যাবের সহ-সভাপতি জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বরাবরের মতো গণশুনানি প্রহসনে পরিণত হলো। কোন যুক্তি তথ্যই আমলে নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী ৩ জুন বিইআরসিতে গিয়ে যে তামিল দিয়েছে সেটাই করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন