২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন থেকে আসন্ন সব নির্বাচন ভালো করার জন্য সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা করে জাপান। মঙ্গলবার (৭ জুন) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত ডিক্যাব টকে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি আশা করবো, গতবারের তুলনায় ভালো নির্বাচন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার পদক্ষেপ নেবে। আপনারা হয়তো শুনে অবাক হতে পারেন ঢাকায় জাপান দূতাবাস ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরপরই উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি প্রচার করেছিল। সেখানে মূল উদ্বেগের প্রসঙ্গ ছিল নির্বাচনকালীন সহিংসতা। প্রত্যেক নাগরিক যাতে অবাধে ভোটাধিকারের চর্চা করতে পারে-এটি জরুরি। এ পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশে যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, তা নিয়ে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা অব্যাহতভাবে বিষয়টি তুলে ধরবো।’
আগামী বছরের শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গণমাধ্যম প্রতিদিন খবর প্রচার করছে, যা নিয়ে কূটনীতিকদের এক ধরনের আগ্রহ থাকার কথা। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমি সরকারের দিক থেকে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন আইন প্রণয়ন ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মতো বিষয়গুলো।’
নির্বাচনের সঙ্গে গণমাধ্যমের অবাধে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত জানিয়ে ইতো নাওকি বলেন, ‘ভালো নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনভাবে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি গণমাধ্যমে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে সেটি গুরুত্বপূর্ণ।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন