আমরা এখন দুটি বাংলাদেশ দেখি। একটি আলো এবং অন্যটি অন্ধকার। যেমন নারী এগিয়ে যাচ্ছে সেটি আলো ও আশার, আবার নারীরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে তা অন্ধকারের প্রতিরূপ। এই সহিংসতা থেকে মুক্তি দিতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। নারী আন্দোলন শুধু নারী-পুরুষের সমতার জন্য নয়, সমাজের সকল অসমতা দূর করে একটি মানবিক, অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে জেন্ডার, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন বিষয়ক সার্টিফিকেট কোর্স, ২০১৬ এর সমাপনী ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আয়োজনে সুফিয়া কামাল ভবনের আনোয়ারা বেগম, মুনিরা খান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানুষের নীতিনৈতিকতা নি¤œমুখী হচ্ছে। এর প্রভাব আমরা সব ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে এর বড় প্রমাণ আমরা দেখতে পেয়েছি। একই অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কেন স্বাধীন দেশের নাগরিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে তাও আমাদের দেখতে হবে। তিনি বলেন, একটি সমাজ এগিয়ে যাওয়ার জন্য নারীর ক্ষমতায়ন যে কত গুরুত্বপূর্ণ তার প্রতিফলন আমরা উন্নত দেশগুলোতে দেখি। সবশেষে তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সবাইকে দেশকে ভালোবাসতে হবে, তবেই দেশের উন্নতি সম্ভব। শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের মোকাদ্দেসা কাদের করবী, ফরিদা ইয়ামিস পুলিশ সুপার। সভায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া হক, আইনজীবী অ্যাডভোকেট হিরণ¥য় হালদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ। ৮টি মডিউলে ৩ মাসের এই কোর্সটি ৪২টি ক্লাসের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে ২২ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন