জীবনের কোনো পর্যায়ে মাদক না নেওয়ার শপথ করেছেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ জুন) ঢাকা কলেজের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আ.ন.ম. নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে মাদকবিরোধী আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের এই শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। মূলত শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও এপিএ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শরীফা সুলতানা। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাস, ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে অসংখ্য তরুণ মাদকের ভয়াল থাবায় পথ হারিয়ে ফেলেছে। আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি মাদকে প্রবেশের বড় একটি মাধ্যম হচ্ছে সিগারেট। যা বর্তমান সমাজে তরুণ প্রজন্মের কাছে খুবই প্রচলিত হয়ে উঠেছে। এছাড়াও মাদকের সঙ্গে জড়িত কারবারিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করানোর পাশাপাশি মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় অধিদপ্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মাদক ও মাদকদ্রব্য বহনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এরপরও অসাধু চক্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেকেই সেসব মাদকের ভয়াল থাবায় নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছে। সেজন্যই শিক্ষার্থীদের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে যেন কোনোভাবেই জীবনের কোন পর্যায়ে মাদকের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত না করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমান সরকার ও প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, কয়েক দফা আইন সংশোধন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেকসময় না বুঝে কৌতূহল বশত মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের তরুণরাই বেশি মাদকের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনক্রমেই কারো প্ররোচনায় মাদক গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হওয়া যাবে না। তাছাড়া এসব ব্যাপারে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সজাগ ভূমিকা রাখতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন