বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বানভাসী মানুষের জন্য জনগণের কাছে সহযোগিতা নেবে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২২, ৮:১৫ পিএম

বানভাসী মানুষের ত্রাণের অর্থ সংগ্রহ করতে সাধারণ জনগণের সহযোগিতা নেবে বিএনপি। আগামী ২৩ জুন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করবে তারা। মঙ্গলবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের ত্রাণ কমিটির আহবায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ২৩ তারিখ থেকে প্রথমে আমরা জনগণের কাছে লিফলেট বিতরণ করবো। লিফলেটে তাদের (জনগণের) কাছে আমরা ভিক্ষা চাইব। সাধারণ মানুষ যা দেয়- এক টাকা দেন, ৫০ পয়সা দেন- সবার কাছ থেকে আমরা ভিক্ষা চাইব। পরের দিন আমরা যাবো, ভিক্ষা চাইব- তারা যা দেবেন এটা আমরা গচ্ছিত করে এটা আমরা বন্যার্তদের কাছে পাঠিয়ে দেবো। এটা করার মূল কারণটা হচ্ছে, আমরা জনগণের দল। ডোনেশনে ১০ জনের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার চাইতে কোটি জনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে করা যাতে জনগণ জানল যে, আমি পার্টিসিপেট করছি। আমরা সেটা বাহক হিসেবে দিয়ে আসলাম। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব এই কার্যক্রম অনুমোদন দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশ বন্যার্তদের জন্য ঝাপিয়ে পড়তে হবে।

বিএনপির ত্রাণ কমিটির আহবায়ক বলেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করার এই কাজটি সুন্দরভাবে আপনাদের করতে হবে। কিছু বড় লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দিয়ে আসলাম কেউ বুঝলো না-কিভাবে কি হয়েছে। আর যখন মানুষের কাছে যাবেন, ঢাকার জনগণের যাবেন তারা কিছু না কিছু দেবেন-এর মাধ্যমে আপনারা মানুষকে সম্পৃক্ত করছেন। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে কাফেলা বের হয় মানুষের কাছ থেকে সাহায্যের চাইতে হবে। বন্যার গাইন বেধে এই কাজে নামতে হবে- এটাই গণসংগঠনের কাজ।

টুকু বলেন, বন্যার পর থেকে বিএনপি মাঠ পর্যায়ে পানিবন্দি মানুষের পাশে আছে, তারা দিনরাত কাজ করছেন। আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রতিদিন গড়ে ১০/১২ হাজার লোককে রান্না করে খাবার খাওয়াচ্ছে। প্রতিদিন নৌকা ভাড়া করে প্রায় ৫‘শ পানিবন্দি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, এক সিলেটের বন্যা দিয়ে বন্যা শেষ হবে না। আমরা ভাটির দেশের লোক। উজানে আসামে যতই বৃষ্টি হবে ততই বাংলাদেশে প্রত্যেকটা জেলায় পানি আস্তে আস্তে ঢুকতে শুরু করবে। সোমবার সিরাজগঞ্জ শহরে পানি ঢুকে গেছে, গাইবান্ধায় পানি ঢুকেছে, বগুড়ার একটা অংশে পানি ঢুকে গেছে, সরিষা বাড়ি দিয়েও পানি ঢুকেছে। পানি সারাদেশে ঢুকেছে। সেজন্য বলছি, আমাদের এই কাজটা কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কাজ। আমরা তিনটা কাজ করবো। একটা হচ্ছে- মানুষের জীবন বাঁচানো। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে এনে তাদের খাবার সরবারহ করা। তারপরে যখন বন্যার পানি নেমে যাবে তখন তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা, বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষজনের রোগ-বালাই হবে তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া-ইত্যাদি কাজগুলো করতে হবে।

মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় এই সভায় উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানও বক্তব্য রাখেন।###

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন