নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে ভারত বাংলাদেশে পানি আগ্রাসন চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের কল্যাণ চায় না। তারা শুস্ক মওসুমে পানি আটকে রাখে এবং ভরা মওসুমে বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশ পানিতে তলিয়ে দিয়ে আগ্রাসন চালায়। সরকারের নতজানু নীতির কারণে ভারতের সাথে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কাজেই ভারত বাংলাদেশের বন্ধ হতে পারে না।
গতকাল বুধবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভারতের পানি আগ্রাসনসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২ জুলাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমিছিল সফলে দলের সকল সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য যে, আগামী ২ জুলাই শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েতশেষে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। গণমিছিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব কেএম আতিকুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ হারুন অর রশিদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল শেখ মু. আল আমিন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, যুবনেতা মুফতী মানুসর আহমাদ সাকী।
গণমিছিল সফলের লক্ষ্যে সহযোগি সংগঠনগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে। যথাসময়েই যেন সকলের উপস্থিতি নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে কার্যকরি উদ্যোগ নিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। গণমিছিল সফলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যৌথসভা অনুষ্ঠিত : ২ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য গণমিছিল সফলের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে থানা ও মহানগর দক্ষিণের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
সভায় গণমিছিল সফলে ব্যাপক পর্যালোচনাশেষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। গণমিছিলকে জনসমূদ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে ব্যাপক দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা এবং তদারকির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন