শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের ছায়াতলে ফিরে আসতে হবে- মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:৩৫ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, শুধু দল ও নেতা বদলের মাধ্যমে দেশে শান্তি ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। দেশ স্বাধীনে আলেমরা জীবন ও রক্ত দেয়ার পরও পিছপা হননি। বৃটিশ খেদাও আন্দোলনের আলেমদের অবদান সবচেয়ে বেশি। বৃটিশদের হটিয়ে পাকিস্তানীরা দেশ শাসন করেছে, শান্তি আসেনি। এরপর স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫১ বছরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির শাসন করেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কিন্তু শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এজন্য ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে সকলকে ফিরে আসতে হবে। তিনি বলেন, ১৪ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। এখন মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত, ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত। খুন ও ধর্ষণ বন্ধ হয়নি। দেশ ক্রমেই দিন দিন ভয়াবতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এমতাবস্থায দেশবাসীকে ইসলামের দিকেই ফিরে আসতে হবে।

আজ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা ও মহানগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা নূরুল বশর আজিজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা দ্বীণ ইসলাম ও মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ নূর হোসেন, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আলআমিন ও মেহেদী হাসান।

সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নগর, জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, জনমতের ভিত্তিতে শাসনতন্ত্রের সংস্কার- বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র তথা সংবিধানকে যথেচ্ছা সংশোধন করে জনঅধিকার খর্ব করার ঢাল বানানো হয়েছে। বর্তমান সংবিধান নিয়ে দেশের কোন পক্ষই সন্তুষ্ট নয়। বিরোধীরা এটাকে সংস্কার করতে চাইছে। সরকার পক্ষও বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরত যাওয়ার কথা বলে বর্তমান সংবিধানের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। সবচেয়ে দু:খজনক বাস্তবতা হলো, এই সংবিধান রচনায় জনমতের তোয়াক্কা করা হয় নাই। পাকিস্তান আমলের “পার্লামেন্ট মেম্বারদের দিয়ে এই সংবিধান পাশ করানো হয়েছে। এই সংবিধান প্রণয়নে গণভোটও হয়নি। এই ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও চলমান গণঅসন্তোষ বিবেচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ ভ‚খÐের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য বোধ, বিশ্বাস ও মনস্তত্ত¡ আমলে নিয়ে এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনের ভিত্তিতে সংবিধানের সামগ্রিক সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন