ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দেশের বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর চিন্তা-চেতনাবিরোধী শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করে সরকার ভারতকে খুশি করলেও এদেশের মানুষ তা কোনভাবেই গ্রহণ করবে না। তিনি অবিলম্বে সিলেবাস সংশোধন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর চিন্তা চেতনা অনুযায়ী করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি থেকে নতুন পাঠ্যপুস্তক থেকে নীতি-নৈতিকতা, ইসলামী আদর্শ বিবর্জিত কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কারিকুলাম বাদ দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে যে পাঠ্যপুস্তক আসছে তা নিয়ে দেশের সচেতন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ সকল পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী বিশ্বাস, আদর্শ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পাশ কাটিয়ে ভিনদেশী কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি মিথ্যা, কল্পিত ও বিতর্কিত বিবর্তনবাদসহ কোরআন সুন্নাহ বিরোধী বহু বিষয় এগুলোতে সংযোজন করা হয়েছে। এগুলো পরিকল্পিতভাবে ইসলাম নিয়ে মহলবিশেষের সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের ফল। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদী এ সকল ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক পাঠ্যপুস্তক স্কুল ও মাদরাসায় মেনে নেয়া হবে না। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ সকল পাঠ্যপুস্তক বেহায়াপনা, নির্লজ্জতা, নগ্ন মূর্তি, ভাস্কর্য ও নগ্ন ছবি দিয়ে ভরপুর। এতে নৈতিকতা শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। আগামী দিনের জন্য আদর্শ মানুষ গড়ার নির্দেশনা নেই। এ সকল পাঠ্যপুস্তক নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শবিবর্জিত খেল-তামাশায় মত্ত অযোগ্য, অদক্ষ একদল নাগরিক গঠন ছাড়া অন্য কোনো কাজে আসবে না। এমন পাঠ্যপুস্তক দেশে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে। নতুন প্রজন্ম এই পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষা গ্রহণ করলে দেশ আদর্শ মানুষ ও আদর্শ নেতৃত্ব শূন্য হবে। জাতির এ সঙ্কট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। অন্যথায় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে যে কোন কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন