ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ বলেছেন, শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামী শিক্ষা, ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুন ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে। তিনি বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার সকল আয়োজন সম্পন্ন প্রায়। পাবলিক পরীক্ষাসহ শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও ডারউইনের বিবর্তবাদ সকল সিলেবাস থেকে বাদ দেয়ার দাবিতে ৪ ডিসেম্বর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করার জন্য প্রতিটি জেলা শাখার প্রতি আহŸান জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারি মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, শ্রমিকনেতা মুফতী মোস্তফা কামাল, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের শহিদুল ইসলাম কবির।
মাওলানা আব্দুল হক আজাদ বলেন, ভারতের প্রেসক্রিপশনে েেদশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিলেবাস থেকে ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচন করা হয়েছে। মাদরাসা সিলেবাসেও হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করা হয়েছে। শিক্ষা সিলেবাসে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তাচেতনা বিরোধী কার স্বার্থে? শিক্ষানীতির মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি, তাহজীব-তামাদ্দুন প্রকাশ পায়। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ভারতের আদলে সিলেবাস থেকে ইসলামীকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছে। সিলেবাসে আছে, পাবলিক পরীক্ষায় ইসলামী শিক্ষার পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।
জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি সফলের আহবান বিভিন্ন সংগঠনের
এদিকে ৪ ডিসেম্বর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি সফলের আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার।
এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ২০৪ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে দেশের নৈতিকতার চরম অবক্ষয় কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে?। ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণের চেষ্টা এধরনের ঘটনা আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চারিত্রিক অবক্ষয়ের কারণে এধরনের ঘটনায় জড়িয়ে পরছে মানুষ। নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণ, হত্যা, যৌতুক এসব হচ্ছে ইসলামী মূল্যবোধের অভাবে, ইসলামী শিক্ষার অভাবে। এজন্য ইসলামের অনুসরণ ও অনুকরণের বিকল্প নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন