বাংলাদেশের পানিসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরার সময় নৌবাহিনীর হাতে আটক হওয়া ১৩৫ ভারতীয় জেলেকে বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। দুই দফায় তাদের হস্তান্তর করা হয়। প্রথম দফায় গত মঙ্গলবার রাতে ৪টি ফিশিং বোটসহ হস্তান্তর করা ৬৮ জনকে গতকাল বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোকন হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে গতকাল বিকালে আরও ৪টি ফিশিং বোটসহ বাকী ৬৭ জনকেও থানায় হস্তান্তর করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, ভারতীয় জেলেদের বঙ্গোপসাগর থেকে বিএনএস মোংলা নৌঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয়। এরপর দুই দফায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটকের ঘটনায় সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে গভীর সমুদ্রে টহলরত নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুম বিবেচনায় সরকার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নৌবাহিনীর জাহাজ ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট (এমপিএ) নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এর মধ্যে গত সোমবার রাতে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা সংলগ্ন রাবনাবাদ চ্যানেলের অদূরে পায়রা ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় বিদেশি ফিশিং ট্রলারের অবস্থান শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গভীর সমুদ্রে টহলরত নৌবাহিনীর জাহাজ বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ৩৬-৬০ নটিক্যাল মাইল অভ্যন্তরে আটটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ ১৩৫ ভারতীয় জেলে ও ক্রু আটক করে। তাদের মোংলা থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়।’
প্রসঙ্গত, প্রায়ই বঙ্গোপসাগরে আন্তর্জাতিক পানিসীমা লঙ্ঘন করে ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশে যখন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। তখন তাদের উপদ্রব বেড়ে যায়। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর অভিযানে গত এক বছরে ফিশিংবোটসহ আড়াই শতাধিক ভারতীয় জেলে ধরা পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন