বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তাতে যোগ দেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। তাতে ঘটনাস্থলেই অন্তত সাতজন বিক্ষোভকারী মারা যান।
সুদানে সেনা-অভ্যুত্থানের তৃতীয় বর্যপূর্তি উপলক্ষে এ বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছিল। স্বৈরাচারী নেতা ওমর আল-বাশিরের বিরুদ্ধে ছিল এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভের ডাক দেয়ার পরই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, যাতে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীরা তাদের সংখ্যাবৃদ্ধি না করতে পারে, তার জন্য। তা সত্ত্বেও খার্তুম ও তার পাশের দুই শহরে লাখখানেক বিক্ষোভকারী জমায়েত হন।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, সুদানের দুইটি বেসরকারি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে নেট বন্ধের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সকাল থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী ও তার পাশের দুই শহরের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী ব্রিজ বন্ধ করে দেয়। তাও প্রচুর মানুষ সেখানে জড়ো হন। তাদের উপর নির্বিচারে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি চলতি সপ্তাহেই সেনাকে সংযত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। তবে সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বিবৃতির নিন্দা করে। তারা বলে, আগাম অনুমানের উপর ভিত্তি করে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তার দায়িত্ব হলো সেনা নেতৃত্ব ও বেসামরিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আলোচনার পথ প্রশস্থ করা। তিনি তা করছেন না। সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন