ফতুল্লার কুতুবপুর শহীদ নগর থেকে মো. মাঈনউদ্দিন (৩০) নামক এক ঔষধ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার কুতুবপুর শহিদনগর মেডিকেল রোডস্থ সালাউদ্দিনের ভাড়া বাসা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ঔষধ ব্যবসায়ী মাঈনউদ্দিন ফতুল্লা মডেল থানার কুতুবপুর শহিদ নগরের মো. মোশারফ হোসেনের পুত্র একই এলাকার মেডিকেল রোডের সালাউদ্দিনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
নিহত মাঈনউদ্দিনের পিতা জানায়, তার ছেলে মোঃ মাঈনউদ্দিন (৩০) একজন ঔষধ ব্যবসায়ী। ঔষধের দোকান শহিদনগর বাজার মোড়ে অবস্থিত।গত ৬ মাস পূর্বে বিবাহ করে।
বাসায় থাকার জায়গা সংকুলনের কারণে এবং ব্যবসার সুবিধার্থে নিজদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী শহিদনগর মেডিকেল রোড সালাউদ্দিনের বাড়িতে স্ত্রীসহ ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলো নিহত মাঈনউদ্দিন।
ব্যবসায়ীক মন্দার কারণে প্রায় সময় পুত্র মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো। বিগত এক সপ্তাহ পূর্ব নিহত মাঈনউদ্দিন তার স্ত্রীকে মিম (১৮) নিয়ে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার বাড়ি মাধবপুরে শ্বশুরালয়ে বেড়াতে যায়।
স্ত্রীকে শ্বশুড়ালয়ে রেখে সেখান থেকে রবিবার (২৬ জুন) মাঈনউদ্দিন তার নিজ বাসায় ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) নিহত মাঈনউদ্দিন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যায়নি। সকাল দশটার দিকে নিহতের স্ত্রী মোবাইল ফোনে নিহতের সাথে কথা বলে।
পরবর্তীতে রাতে আবারো ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় বাড়ীর মালিকের ছেলে নাঈম ইসলাম কে ফোন দিয়ে নিহত মাঈনুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ বা তার খোঁজ খবর নিতে বলে।
নাঈম নিহত মাঈনউদ্দিনের দরজা সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে কোন সারাশব্দ না পেয়ে ঔষধের দোকানের কর্মচারী ও আশপাশের লোকজনকে নিয়ে ঘরের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে দেখতে পায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে লাইলনের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো নিহত মাঈনউদ্দিনের ঝুলন্ত লাশ।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক ইমানুর জানায়,রাতে সাড়ে এগারোটার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন