৩ জুলাই রবিবার সকাল ৭টার দিকে পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের পশ্চিম গুটাবাছা ৯নং ওয়ার্ড মাছেরখাল গ্রামে মোবাইল আসক্ত সুমাইয়া (১৩) নামক ১স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আত্ম হননকারী সুমাইয়ার বাবার নাম মো: দুলাল মিয়া।
সে পাথরঘাটা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শেনীর ছাত্রী ছিল। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে পার্শ্ববর্তী একটি ছেলের সঙ্গে সুমাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই ছেলের সঙ্গেই ফোনে কথা বলছিল সে। একারনে বাবা মেয়ের ফোন কেড়ে নেয় এবং সে অভিমান করে নিজ রুমের চৌকাঠের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগায়।
পরবর্তীতে প্বার্শবর্তী আত্মীয় স্বজনরা তাকে জানালার ফাঁকা দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে বাবা দুলাল ও অন্যান্য লোকজনরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে ওড়না কেটে নিচে নামিয়ে দ্রুত পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য বাবা সহ প্বার্শবর্তী লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সুমাইয়া তার পার্শবর্তী খলিল এর ছেলে রব্বানীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং উক্ত রাব্বানী সুমাইয়াকে একটি মুঠোফোন ক্রয় করে দেয় ওই ফোনের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ তথা প্রনয় সম্পর্ক চলে আসছিল বলে জানা যায়। ওই ফোনে কথা বলার সময় সুমাইয়াকে তার বাবা দেখে ফেলেন এবং তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।
এলাকাবাসীর মতে মেয়েটি প্রেমিক ছেলের সঙ্গে কথা বলতে না পারা এবং মোবাইল কেড়ে নেয়া মানতে না পেরে উক্ত ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল বাশার বলেন ,মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে । প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন