পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুত থাকছেনা। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলায় তীব্র লোডসেডিং চলছে। বিদ্যুতের অভাবে জনজীবনে চলছে অচল অবস্থা। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ পুঠিয়া জোনাল অফিস সূত্রে জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলায় বর্তমানে দৈনিক ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলে সেখানে তারা ৮ মেডাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। কোন কোন সময় এর চেয়ে কম বিদ্যুৎ তারা পাচ্ছেন। বর্তমানের উপজেলায় বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসছে তার ঠিক নেই। এলাকায় প্রচলিত রয়েছে পুঠিয়ায় বিদ্যুৎ যায় না আসে। এছাড়াও প্রচন্ড গরমের কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডসেডিং করতে হয় বলে অফিস সূত্রে জানাগেছে। লোডসেডিংয়ের কারণে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ থাকায় উপজেলাবাসী গরমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। বর্তমানের যে লোডসেডিং চলছে উপজেলাবাসী তাকে ভায়াবহ লোডসেডিং বলে জানিয়েছেন। এলাকায় বিদ্যুতের আসা যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দিন-রাতে অতিরিক্ত গরম আর বিদ্যুতের লোডসেডিং এর কারণে অধিকাংশ পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও বিদ্যুতের লোডসেডিং এর ফলে উপজেলার ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কলকারখানার উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে করে তারা লোকসানে মুখে পড়বে বলে মালিকগণ অভিযোগ করেন। সরজমিনে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এখন লোডসেডিং এর মাত্র আরোও ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। লোডসেডিং এর কারণে উপজেলাবাসী কোন মতে দিন পর করলেই রাত হলেই তাদের মঝে নেমে আসে চরম দুভোর্গ। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি তা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এতে রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে তাদের। এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পুঠিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম ইয়াকুব আলী শেখ জানান, হঠাৎ করে কিছু দিন থেকে নাটোরের হরিশপুর ও রাজশাহীর কাটাখালি থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাই যে পরিমান তাতে আমাদের চাহিদা পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও তিনি বলেন, আমারা সর্বচ্চো ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি যেখানে আমাদের চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন