কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান জুয়েলের একটি ছবি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ছবিতে এক হাতে অস্ত্র, অন্য হাতে সিগারেট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে তাকে। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
ভাইরাল ওই ছবিতে দেখা যায়, যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান জুয়েলের একটি অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন। অন্য হাতে সিগারেট রয়েছে তার। মনিরুজ্জামান জুয়েল তিনটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি
গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে দলীয় কোন্দলের কারণে শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদারের ওপর হামলা চালান মনিরুজ্জামান জুয়েল। হামলার পর তার এ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় তাকে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়।
আশিষ বিশ^াস নামে একজন লিখেছেন, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তা নাহলে আওয়ামী লীগকে কেউ বিশ্বাস করবে না। এছাড়া এ দলকে সন্ত্রাসী দল হিসাবে চিহ্নিত করবে জনগণ। তাই সময় থাকতে তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করে আইনের আওতায় দ্রæত আনুন।
তাজউদ্দিন তারেক নামে একজন লিখেছেন, ঢাকার নিউমার্কেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেসব সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে, প্রায় সব জায়গাতেই অস্ত্রের দেখা মিলেছে। সম্প্রতি কুমিল্লায় যুবলীগ নেতার অস্ত্র নিয়ে উল্লাসের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েেেছ। বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র এবং অস্ত্র প্রদর্শনের প্রবণতা কি দিন দিন বাড়ছে? এদেশে কি আইনের শাষণ নেই।
জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন লিখেছেন, তারাইতো ভবিষ্যতের জনপ্রতিনিধি, তারা একদিন দেশ চালাবে, তেল, চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াবে। তাই এদেরকে এখনি জুতার মালা গলায় দিয়ে জাতির সামনে ঘুরিয়ে পরিচয় করানো হোক।
সাফায়েত টেলকো নামে একজন লিখেছেন, তার হাতে অস্ত্র থাকলেও লাভ নেই। কারণ উনি যুবলীগ, উনাকে আল্লাহ ছাড়া কেউ পানিতে চুবাতে পারবে না।
শহিদ উল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, তাদের হাতে কামান থাকলেও সমস্যা নেই। কারণ তারা সরকারি দল করে, তাদের কিছু হবে না। বরং এ নিয়ে মিডিয়া শুধুই বাড়াবাড়ি করে।
শেখ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান নামে একজন লিখেছেন, তাকে পুলিশে চাকরি দেওয়া হোক। নিজের ও যুবলীগেরও উন্নতি করতে পারবে।
জসিম উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, আওয়ামী লীগের সৈনিক বলে কথা।
জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন লিখেছেন, তারা কোনো সন্ত্রাসী দল নয়। কারণ সে সরকারি দল।
শহিদ উল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, তাদের হাতে কামান থাকলেও সমস্যা নেই।
ই-ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, তারা সন্ত্রাসী, কিন্তু তারপরও তাদের ধরবে না পুলিশ। কারণ তারা সরকারি দল করে।
শেখ মোহাম্মদ সালমান নামে একজন লিখেছেন, হয়তো ২য় পক্ষের কিছু লোক এখনো গলা ফাঠিয়ে বলবে- এটা খেলনা অস্ত্র ছিল। এটা নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার কি আছে। আওয়ামী লীগের ধর্মের উম্মতের হাত থেকে আমাদের সকল মুসলমানদের হেফাজত করুন মহান আল্লাহ।
মো. মজিদ হানি নামে একজন লিখেছেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতার কাছে এম-১৬ রাইফেল। যেটা অনেক দেশের সেনাবাহিনী-ই পায় না। সত্যিই এ দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
জোবায়ের আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, এ দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক! শান্তিতে নোবেল পাওয়ার বেশি দেরি নাই তার।
বাবলু জোহা নামে একজন লিখেছেন, উনাকে প্রমোশন দিয়ে যে কোনো একটা বাহিনীর প্রধান বানিয়ে দেওয়া হোক, এটা আবুল্লা জাতির জোর দাবি।
শাকিল মাহমুদ নামে একজন লিখেছেন, এতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ তারা সরকারের দলের আদর্শবান সৈনিক। তাদের কিছু হবে না।
কাঠ পেন্সিল নামে একজন লিখেছেন, বাহ, ভালোতো, তারা জঙ্গি না, যত অস্ত্রই থাক তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। বাবুরা এগিয়ে চলো বানরের গতীতে।
আবার অনেকে লিখেছেন, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। নয়তো তার কারণে সরকারের অনেক বদনাম হবে। এমনকি আ.লীগের জনপ্রিয়তাও অনেক কমবে।
এছাড়া অনেকে লিখেছেন, তার কিছু হবে না। কারণ সে সরকারি দল করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন