ফরিদপুরের চিরকুট লিখে সবুজ নামে এক লোক আত্মহত্যা করেছে।
ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট হাউজিং এস্টেটের একটি বাসা থেকে উক্ত সবুজ(২২) নামের যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সবুজ ঢালি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি থানার বানিয়া গ্রামের আব্দুল হাসেম ঢালির ছেলে।
শুক্রবার(১৫ জুলাই) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এলাকার বি-ব্লকের এ্যাড, আওলাদ হোসেনের বাসার দোতলার একটি রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে মায়ের কাছে চলে যাবার কথা লিখে যায় সবুজ।
নিহত সবুজের ভাই জসিম ঢালি জানান, বউ বাচ্চা আর ছোট ভাই কে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। রাত ৮টার দিকে বাড়ির মালিকের ছেলে ফোন করে জানায় বাচ্চারা বাইরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আপনার বাসার দরজা ভিতর থেকে আটকানো। বাচ্চাগুলো ঘরে ঢুকতে পারছে না। তাছাড়া বাচ্চা গুলোর মা পার্লারে চাকুরি করেন সেও বাসায় নেই। এমন খবর পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে রেখে বাসায় ছুটে এসে দরজা ভেঙ্গে ছোট ভায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।
নিহতের ভাবি লিজা বেগম জানায়, গত ৪ মাস হলো তারা ভাড়া উঠেছে। ৩ মাস যাবৎ দেবর তাদের সাথেই থাকে। দুপুর ১ টার দিকে দুজনেই খাওয়া দাওয়া করি। আমি পার্লারে কাজে চলে যাই। বিকেল ৪টা ১৬ তে আমাকে কল করে জিজ্ঞাসা করলো রান্না করতে হবে কি না? আর আপনার আসতে দেড়ি হবে কিনা? এতটুকুই তার শেষ কথা।
দেড় বছর আগে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আগে সে একটা ব্যবসা করত। মাথা ব্যাথ ও অসুস্থতার জন্য সে এখন কিছুই করে না বলে জানায় তার পরিবার।
মৃত্যুর আগে লেখা চিরকুটে লিখেছে আমি খারাপ তাই চলে গেলাম। সবাই আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি জানি না আমার কি হবে। ০১৬০৮,,,,, নম্বরে আমি ওর কাছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাই।
ভাই মাফ করে দিবেন। আমি মায়ের কাছে চলে গেলাম, এটাই ছিল তার চিকুটের শেষ কথা।
কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাশার জানান, ডাইনিং রুমের ফ্যানের হুকের সাথে লাইলন রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এসময় পাশের রুমের ওয়ার্ডড্রপের উপর রাখা নিহতের মানিব্যাগের মধ্যে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। এব্যপারে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন