তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শনিবার ঘোষণা করেছে যে, তুরস্ক অন্য কোনো দেশের জন্য শরণার্থী শিবির বা সীমান্তরক্ষী হিসেবে কাজ করবে না এবং কোনো অবস্থাতেই তৃতীয় দেশের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করবে না।
ব্রিটিশ সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস তুরস্কের সাথে একটি আশ্রয়ের অংশীদারিত্বের বিষয়ে রুয়ান্ডার সাথে যেভাবে ব্যবস্থা করেছিল তার অনুরূপ চুক্তির দাবি করতে পারেন।
সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যাঙ্গো বিলজিক বলেছেন: ‘আমরা আশা করি, মিস ট্রাসের প্রসঙ্গে করা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন’। এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্য এবং রুয়ান্ডা ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড (১৪২ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে যাতে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টাকারী আশ্রয়প্রার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য পূর্ব আফ্রিকান দেশে পাঠাবে।
এক বিবৃতিতে বিলজিক বলেছেন, তুরস্ক ইতোমধ্যে আট বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থীকে আতিথ্য দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অতএব, তৃতীয় দেশের অনুরোধে তুরস্কের আরো বেশি বোঝা বহন করা বা একটি উদ্যোগের অংশ হওয়া প্রশ্নাতীত, যা আশ্রয়ের অধিকারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলে না’। ‘তাছাড়া, আমরা এর আগে আফগান শরণার্থীদের সম্পর্কে প্রকাশিত অনুরূপ সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর প্রকাশ্যে আমাদের অবস্থান শেয়ার করেছিলাম।
‘এর ওপর ভিত্তি করে, আমরা সমস্ত দেশকে তাদের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করার এবং অভিবাসন ইস্যুতে সমান দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানাই’, বিলজিক বলেন।
তুরস্ক অবৈধ অভিবাসীদের জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হয়েছে যারা ইউরোপে নতুন জীবন শুরু করতে চায়, বিশেষ করে যারা তাদের দেশে যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পালিয়েছে। দেশটি ইতোমধ্যেই বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি ৪০ লাখ শরণার্থীকে আতিথ্য দিয়েছে এবং মানবিক পদ্ধতিতে নতুন অভিবাসীদের আগমন রোধ করতে এর সীমান্তে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সূত্র : ডেইলি আস-সাবাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন