বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

আমার আর টুটুলের বিচ্ছেদ নিয়মের মধ্যেই হয়েছে- তানিয়া আহমেদ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

শোবিজে আদর্শ ও সুখী দ¤পতি ভাবা হতো কণ্ঠশিল্পী এস আই টুটুল ও অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদকে। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুলাই সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুলকে বিয়ে করেন তানিয়া। তারপর তারা শোবিজে সুখী দম্পতি হিসেবে পরিচিতি পান। টুটুল-তানিয়ার সংসারে আছে তিন সন্তান। তারা হলেন অনয়, শ্রেয়াস ও আরশ। আরও দুটি মেয়ে আছে আয়াত ও সামিয়া নামে। এই দুজনকে দত্তক নিয়েছিলেন তারা। ২৩ বছর পর সংসার করার পর তাদের সেই সংসার ভেঙ্গে গেছে। তাদের সংসার ভাঙার খবরে অবাক হয়েছেন শোবিজের লোকজন। তাদের ভক্তরাও চমকে গেছেন। কেন কি কারণে এত বছরের সংসার ভেঙ্গেছে এ নিয়ে তারা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। ইতোমধ্যে টুটুল বিয়েও করে ফেলেছেন। গত ১৮ জুলাই তার এই বিয়ের খবর জানা যায়। টুটুল এখন আমেরিকায়ই নতুন স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। সেখান থেকে তানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে এক বার্তায় জানান, প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে এক বছর হয়েছে। আমি ও তানিয়া ৫ বছর সেপারেট ছিলাম। গত বছর আমাদের অফিসিয়াল ডিভোর্স হয়। তিনি বলেন, সমঝোতার মাধ্যমেই এই বিচ্ছেদ হয়েছে। তানিয়া ওর জীবনে সুখে থাকুক। তার আগামীর দিনগুলো সুন্দর হোক। সুখ-দুঃখ ভুলে নতুন জীবন শুরু করুক এটাই কামনা করছি। নতুন স্ত্রী স¤পর্কে টুটুল বলেন, শারমিনা সিরাজ সোনিয়া দেশের একাধিক মিডিয়ায় উপস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে উপস্থাপনার পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনের সাথে স¤পৃক্ত। এখন সে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হিসেবেই আছে। আরটিভির বাংলা গায়েন থেকে সোনিয়ার সাথে পরিচয়। কনসার্টসহ নানা কাজেই আমার নিউইয়র্কে যাতায়াত। পরে তাকে ভালো লাগে। দুজনই যেহেতু সিঙ্গেল এবং ম্যাচিউরড তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। গত ৪ জুলাই সোনিয়া আর আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।

এদিকে এ নিয়ে কথা বলেছেন তানিয়া আহমেদ। সংসার ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করে তানিয়া আহমেদ বলেন, স¤পর্কের জায়গায় কখনো-কখনো কিছু সমস্যা তৈরি হয়। সেই সমস্যা থেকেই দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আসলে এমন কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে, সেগুলো চাইলেও শেয়ার করা যায় না। তিনি বলেন, দুজন ভালো মানুষ সবসময় ভালো না-ও থাকতে পারে। কেউ যদি মনে করে, সে নিজের মতো করে থাকবে বা চলবে, সেখানে তো কারো কিছু করার থাকে না। আবার কেউ ছেড়ে যেতে চাইলে তাকে শত চেষ্টাতেও বেঁধে রাখা যায় না। তবে টুটুল সবকিছু নিয়মের মধ্যেই করেছেন। তানিয়া বলেন, দিনশেষে আমার সন্তানদের বাবা টুটুল। তার যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে সন্তানরা ভালো থাকবে না। সন্তানরা তার বাবাকে প্রচÐ ভালোবাসে। আমাকেও খুব ভালোবাসে। উভয়ের জন্যই ওদের কষ্ট হবে। আমি মনে করি, এটি কাদা ছোড়াছুড়ির বিষয় না। যা কিছুই হয়েছে, সবকিছু নিয়মের মধ্যে হয়েছে। তানিয়া টুটুলের নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বলেন, টুটুলের নতুন জীবনের জন্য সবসময় শুভকামনা। দোয়া করি, নতুন জীবনে তারা যেন ভালো থাকে। পাশাপাশি তিনি নেটিজেনদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত ভালোলাগা থাকে, ব্যক্তিগত জীবন আছে। আমাদের বিষয় আমাদেরই সমাধান করতে হবে, অন্যরা পারবে না। তাই অন্যদের চুপ থাকাই ভালো। আশা করব, সবাই খারাপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন