বরিশাল ব্যুরো/ এবারের এমপিও তালিকাভুক্তিতেও দক্ষিনাঞ্চলের অনেক মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম না থাকায় হতাশার সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ সহ অভিভাবক মহলও। এমনকি ভাল ফলাফল করা মিক্সা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও বূক্ত না হওয়ায় ছাত্রÑছাত্রীদের মাঝেও হতাশা নেমে এসেছে। বরিশাল ও ঝালকাঠীর কোন শিক্ষা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবার এমপিও তালিকাভ’ক্ত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ভাল ফলাফল এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যাবস্থা সহ যথাযথ অবকাঠামো সমৃদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এবার বাদ পাড়েছে। অপরদিকে নানামুখি তদবিরের যোরে অপেক্ষাকৃত খারাপ ফলাফলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভ’ক্তির অভিযোগও করেছেন অনেক শিক্ষাবীদ সহ শিক্ষক ও অভিভাবক মন্ডলী।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে অতি সম্প্রতি সারা দেশে যে প্রায় ৩ হাজার নি¤œ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভ’ক্ত করা হয়েছে, সে তালিকায় বরিশাল বিভাগের মাত্র ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম থাকলেও যোগ্য ও মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এবারের এমপিওভ’ক্তিতে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার মধ্যে পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ ২৭টি, পিরোজপুরে ১২টি, ভোলাতে ৭টি বরগুনাতে ৫টি এবং বিভাগের সর্বাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রÑছাত্রী সমৃদ্ধ বরিশাল জেলায় দ্বিতীয় সর্বনি¤œ, মাত্র ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভ’ক্ত হয়েছে।
এবার এমপিও ভ’ক্তির তালিকায় জেলার মুলাদী ও বানরীপাড়া উপজেলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নেই । এছাড়া আগৈলঝারা উপজেলার ২টি সহ জেলার অপর ৭টি উপজেলার মাত্র ১টি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভ’ক্তির সৌভাগ্য অর্জন করেছে। ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মাত্র ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভ’ক্ত হলেও জেএসসি ও এসএসসি পরিক্ষায় প্রায় শতভাগ উত্তীর্ণ আলহাজ্জ আবদুর রশিদ মোল্লা জাহিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এমপিওভ’ক্ত না হওয়ায় শিক্ষাবীদ ও অভিবাবক সহ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও চরম হতাশা নেমে এসছে। অথচ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের স্বীকৃতি সহ অধিভ’ক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩শ ছাত্রী অধ্যায়নরত।
বরিশাল ও ঝালকাঠীর কোন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবারের এমপিও ভ’ক্তির তালিকায় না থাকায় কৃষিবীদ ড. চিত্তরঞ্জন সরকার হতাশা ব্যাক্ত করে এ ধরনের পদক্ষেপ দক্ষিণাঞ্চলের কারিগরি শিক্ষাকে অনেকটাই পিছিয়ে দেবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি জেলায় কোন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভ’ক্ত না করাকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে তিনি তা পুণঃ বিবেচনারও দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে রমজানকাঠি কারিগরি ও কৃষি কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল পীযুষ কান্তি মন্ডল অভিযোগ করেন, সরকার মুখে কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারনের কথা বললেও বাস্তবে তার প্রমান মিলছে না। দক্ষিণাঞ্চলের এ দুই বিশিষ্ট শিক্ষাবীদই ‘তদবিরের ভিত্তিতে নয়, সরকারী নীতিমালা পরিপূর্ণ অনুসরন করে মান ও যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভ’ক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার’ও দাবী জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন