করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। অর এই কঠিন সময়েও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যহত রেখেছে বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক হোলসিম গ্রæপ ও স্পেন ভিত্তিক সিমেন্টোস মলিন্স গ্রæপের যৌথ উদ্যোগই লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন), ২০২২ আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, এই সময়ে নীট বিক্রি বেড়েছে শতকরা ৬ ভাগ বেড়ে ৫ হাজার ১৪ মিলিয়ন টাকা হয়েছে। গত বছর এর পরিমান ছিল ৪ হাজার ৭৩৭ মিলিয়ন টাকা। কর পূর্ববর্তী আয় হয়েছে ১ হাজার ২৯৩ মিলিয়ন টাকা যা গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে শতকরা ৯ ভাগ বেশি। এদিকে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসের জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে শতকরা ১৫ টাকা হারে ১ দশমিক ৫০ টাকা অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর ফলে ১৭৪ কোটি টাকা অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা রাজেশ সুরানা বলেছেন, সারা বিশে^ই পরিবহন ও সিমেন্টের কাঁচামালে উর্ধ্বগতির এই সময়টাতে, প্রতিবন্ধকতাগুলোকে মোকাবেলা করার দৃঢ়তা প্রদর্শন করায় কোম্পানির সকল কর্মী, বিপণন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। এই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে সঠিকভাবে মোকাবেলা করার জন্য কর্মীরা যে ধরনের উদ্ভাবনী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তার জন্য আমি গর্বিত। তৎপরতা, ব্যয় সংকোচন এবং উদ্ভাবনের প্রতি আমাদের অব্যহত আলোকপাতের মাধ্যমেই এই ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে, যা বছরের বাকী সময়ের জন্য মজবুত ভিত্তি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকের পারফরমেন্সে আমি সন্তুষ্ট। উদ্ভাবনী পণ, বিপণন ব্যবস্থা, নতুন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা এই ফলাফল অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। কোম্পানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ‘জিওসাইকেল’ কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করার পাশাপাশি টেকসই বিকল্প জ¦ালানীর যোগান দিচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের কর্মীরা দীর্ঘমেয়াদী মূল্যবোধ এর মাধ্যমে দেশের উদ্ভাবনী ও টেকসই নির্মাণ সামগ্রী সমাধানের নেতৃন্থান অর্জনে বদ্ধপরিকর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন