শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম : সরকারের ভারনাবল গ্রæপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কর্মসূচির আওতায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার ছিটমহলে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হলেও অনেক দুস্থ মহিলা এই সুবিধা পাননি। অথচ একই পরিবারের একাধিক মহিলাকে কার্ড দেয়া হয়েছে। তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ধনী-গরিব বিবেচনা করা হয়নি কর্মসূচির আওতায়। তালিকায় তৈরির দায়িত্বরতরা নীলকোমল নদী পারাপারে কাঠের সাঁকো তৈরির নামে টাকাও নিয়েছে প্রত্যেকের কাছ। শুধু দাসিয়ারছড়ার ছিটমহলে দুই হাজার ৯৫০ জনের মধ্যে তালিকা থাকায় নাম কথা থাকলেও এ সুযোগ মেলেনি অনেকের। তাছাড়াও ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দাসিয়ারছড়ার আয়তন ১ হাজার ৬৪৩ দশমিক ৪৪ একর। বিগত ২০১৫ সালের জুলাই মাসে দু’দেশের যৌথ হেড কাউন্টিং অনুযায়ী পরিবারসংখ্যা ১ হাজার ৩৬৪টি। জনসংখ্যা ৬ হাজার ৮৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৫৬২ জন এবং মহিলা ৩ হাজার ৩২৭ জন। এদের মধ্যে সরকারের বয়স্ক ভাতা ৬০০ জন, বিধবা ভাতা ২৭৫ জন এবং প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন ৫১ জন। অর্থাৎ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন ৯৩১টি পরিবার।
তারপরও ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় এই ছিটমহলের দুস্থ ২ হাজার ৯৫০টি পরিবারের মহিলাদের জন্য কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ছিটমহলটির মোট পরিবারের দ্বিগুণেরও বেশি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৮৬৯টি পরিবারের মহিলাকে কার্ড দেয়া হয়েছে।
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো কমিটিতে নেই এমন ব্যক্তিদের দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকা দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্তে¡ও দেখতে পাননি। এছাড়া ৫০ টাকা করে চাঁদা তোলার বিষয়টি শুনেছেন বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন