পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান অভিযোগ করেছেন যে, পিপিপি’র কো-চেয়ারপারসন আসিফ আলি জারদারি আসন্ন মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনের আগে আনুগত্য বদলানোর জন্য তার দলের এমপিএদের ঘুষ দেওয়ার চক্রান্তের পেছনে রয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী গতকাল টুইট করেছেন, ‘আজ লাহোরে সিন্ধু হাউস হর্স ট্রেডিংয়ের পুনরাবৃত্তি দেখছে যেখানে ইসলামাবাদে এমপিএ কেনার জন্য ৫০ কোটি রুপি পর্যন্ত অফার করা হয়েছে। এর পেছনে প্রধান স্থপতি হলেন আসিফ জারদারি যিনি তার দুর্নীতির জন্য এনআরও (জাতীয় পুনর্মিলন অধ্যাদেশ) পান যিনি লুণ্ঠিত সম্পদে লোকদের ক্রয় করেন। তার জেলে যাওয়া উচিত’।
ইমরান বলেন, এমপিএ আনুগত্য কেনার প্রচেষ্টা কেবল গণতন্ত্রের উপরই নয়, সমাজের নৈতিক কাঠামোর ওপরও আক্রমণ। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এসসি (সুপ্রিম কোর্ট) যদি ব্যবস্থা নিত এবং এই টার্নকোটগুলোকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করত, তবে তা একটি প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করত। মার্কিন শাসন পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রের আমদানি করা সরকারের হ্যান্ডলাররা কি বুঝতে পারে না যে, জাতির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে’?
ইমরানের দাবিটি এক দিন আগে অন্যান্য পিটিআই নেতাদের অনুরূপ অভিযোগ অনুসরণ করে, যারা বলেছিলেন যে, দলের এমপিএদের ভোটে ‘কারচুপি’ করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশের মাধ্যমে সরকার দিয়ে হুমকি এবং চাপ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, পিটিআই নেতা শাহবাজ গিল গত বুধবার অভিযোগ করেছেন যে, দলের একজন এমপিএকে জারদারি এবং পিএমএল-এন ২৫ কোটি রুপি দিয়ে ‘কিনে’। তিনি বলেন, ইমরানের নির্দেশে কথিত হর্স ট্রেডিংয়ের বিরুদ্ধে লাহোরের লিবার্টি চকে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইসলামাবাদে একটি সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে পিটিআই সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন যে, রহিম ইয়ার খানের একটি পার্টি এমপিএ মাসুদ মাজিদ ৪০ কোটি রুপি ঘুষ নিয়ে তুরস্কে পালিয়ে গেছে। তিনি জারদারির বিরুদ্ধে চক্রান্তের পেছনে ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। চৌধুরী বলেন, আরো তিনজন এমপিএ শীর্ষ আদালতে তাদের হলফনামা জমা দিয়েছেন। ব্যাখ্যা করেছেন যে, কীভাবে তাদের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। তিনি পিএমএল-এন নেতা আতাউল্লাহ তারারকে পিটিআই এমপিএদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন।
‘আমরা জানি না কতজন এমপিএ’র সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ধরনের কৌশলে জড়িত কাউকে জনগণ কখনোই ক্ষমা করবে না। ক্ষমতায় লেগে থাকার এ অভ্যাস এখনই শেষ হওয়া উচিত’। সূত্র : ডন অনলাইন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন