সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মাকসুদুর রহমান জিমাম (২৩) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। সে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আরফিননগর এলাকার মুজিবুর রহমানের পুত্র ও ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কর্মচারী।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আরফিন নগর গ্রামের মুজিবুর রহমানের পুত্র মাকসুদুর রহমান জিমাম কর্মচারীর চাকুরী করতো ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে। এ সুবাধে ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের পাটিরভাগ গ্রামের আবদুল মছব্বিবের কন্যা তাছলিমা বেগম (২০) এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ভোরে প্রেমিকা তাছলিমাকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যায় প্রেমিক মাকসুদুর রহমান জিমাম। ওইদিন সকাল ১০টার দিকে শান্তিগঞ্জের পাগলা বাজারে জনৈক এক ইমামের মাধ্যমে তাদের বিয়ে (আকদ) সম্পন্ন হয়।
পরে ডাবর এলাকায় দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের মৃত মোশাহিদ আলীর পুত্র নৌকার মাঝি আমির আলীর সাথে তাদের পরিচয় ঘটে। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে না তুলে জিমাম তার নতূন স্ত্রীকে নিয়ে নৌকার ওই মাঝির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শুক্রবার রাত ছিল তাদের বাসর রাত। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নৌকার মাঝি আমির আলীর প্রতিবেশি আকবর আলীর পুকুরে গোসল করতে যায় জিমাম। সাথে ছিল আমির আলীর পুত্র আলী মার্জান। গোসল করে পুকুর থেকে উঠার সময় হোচট খেয়ে পানিতে পড়ে তলিয়ে যায় জিমাম। প্রায় আধঘন্টা পর রাত ৯টার দিকে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলেটি সাঁতার জানত না। ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমুত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন