এ যেন বাড়ির মধ্যেই আস্ত এক শহর! যে বাড়ি আবার তৈরি হচ্ছে মরুভূমির ঠিক মাঝখানে! কী নেই সেখানে? কৃষি জমি (থেকে শুরু করে স্টেডিয়াম। বাজার হোক বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এমনকি বাড়ির নীচে থাকছে রেল স্টেশনও!
এভাবে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে মরভূমিতেই শহর তৈরি করছে সউদী আরব। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আরব দেশ তো বটেই পশ্চিমী দুনিয়ারও তাক লেগে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মরভূমিতে বাড়ি নির্মানে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্ববাসীর সামনে আসবে বলেও মনে করছেন বহু গবেষক। সম্প্রতি আর-রুব-আল-খালি মরভূমিতে বিরাট এক বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছে সউদী প্রশাসন।
পশ্চিমী দুনিয়ার একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মরভূমির মধ্যে ৭৫ মাইল লম্বা এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই বিল্ডিং। বিশালাকার এই ইমারতে থাকতে পারবেন অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষ। সউদী প্রশাসন সূত্রে দাবি, বিভিন্ন পেশার মানুষকে এখানে রাখা হবে। এদের মধ্যে থাকবেন কৃষকরাও। তাদের জন্যে ভার্টিক্যাল ফার্মিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিল্ডিয়ের নীচে চলবে ভূগর্ভস্থ ট্রেন। যাতে করে দেশের অন্যান্য শহরের সঙ্গে যাতায়াত করতে পারবেন এখানকার বাসিন্দারা। গোটা প্রকল্পের জন্য খরচ করা হবে ১ লাখ কোটি টাকা।
মধ্য এশিয়ার আর-রুব-আল-খালি বিশ্বের দ্বিতীয় উষ্ণতম মরভূমি। ফলে এখানে বিশালাকার ইমারত নির্মাণ সহজ নয়। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-র দাবি, নির্মাণ কাজের পানির সমস্যা মেটাতে বিকল্প ব্যবস্থা করেছে সউদী প্রশাসন। দেশের একাধিক শহর থেকে পাইপে করে প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত পানি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্প শেষ হলে লোহিত সাগরের তীরে গড়ে উঠেবে নতুন এক শহর। যার আয়তন হবে ম্যাসাচুসেটসের থেকে কয়েক গুণ বড়।
কবে শেষ হবে এই প্রকল্পের কাজ? ২০৩০-র মধ্যে কাজ শেষ হোক চান সউদীর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। যদিও ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষে হতে লেগে যাবে ৫০ বছর। অতএব ১ লক্ষ কোটির বাড়ির থাকতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন। সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন