মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া দুলাল এ রিট করেন। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। রিটে সাময়িক সময়ের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা দেয়া কেন অমানবিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে বলা হয়ে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা বাঙালিরা যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলাম, তখন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এক কোটি বাঙালিকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছিল। তারা আমাদের খাবার, ওষুধ ও বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে। ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ভারত সরকার আমাদের ওই বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করেছিল। আজ স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পর ভারতের যেসব নাগরিক আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে তাদের আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা জানিয়েছি। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নারকীয় হামলা ও হত্যাযজ্ঞের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে আমরা বাধা দিচ্ছি। আমাদের উচিত ছিল বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করে সাময়িক সময়ের জন্য তাদের আশ্রয় দেয়া এবং অনুপ্রবেশে বাধা না দেয়া। রিটে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোও যুক্ত করা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনা-পুলিশ সহিংস অভিযান চালাচ্ছে। এই অভিযানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের হতাহতের খবর আসছে। অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি বেড়েছে। অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি রোহিঙ্গাদের আটক করে ফেরত পাঠাচ্ছে। তা সত্ত্বেও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন