পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার টিকার প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন ইপিআই বিভাগের পরিচালক শামসুল হক। শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৫ লাখ দুই হাজার চারশো ডোজ টিকা এসে পৌঁছায়। পরে সেই টিকা বুঝে নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই বিভাগ। ইপিআই বিভাগ বলছে, ইতোমধ্যে টিকা প্রয়োগ নিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগস্টেই পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু করতে চায় ইপিআই বিভাগ। ইপিআই পরিচালক শামসুল হক জানান, পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকা প্রয়োগে কয়েক দফা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই স্থান ও সময় জানানো হবে। তিনি জানান, শিশুদের এই ফাইজার টিকা বাংলাদেশ ও ইউএস সরকারের মাধ্যমে কোভ্যাক্স থেকে নেয়া হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, সারাদেশে এই মুহুর্তে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ। সেই হিসেবে প্রায় সাড়ে চার কোটি ডোজ ফাইজার টিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। ইপিআই পরিচালক আরও বলছেন, নির্দিষ্ট বয়সী শিশুদের এই ফাইজার টিকা মাত্রা ও পরিমাণ হিসেবে বড়দের টিকার আলাদা করে প্রস্তুত করা হয়েছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মত পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও স্কুলগুলোতে কেন্দ্র করে ফাইজারের এই বিশেষ টিকা দেয়া হবে। তাই শিশুদের জন্মসনদ দিয়ে সুরক্ষা এ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনের তাগিদ দেন তিনি। প্রাথমিকভাবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে এই টিকা কর্মসূচীর আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। ইতোমধ্যে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার টিকার প্রায় ১৫ লাখ ডোজের প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। পর্যায়ক্রমে বাকী টিকাও সময়মত এসে পৌঁছাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন