৫ আগস্ট ২০১৯ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ার পর থেকে ভারত কর্তৃক অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে নবমবারের মতো বেকারত্বের হার ২০ শতাংশের উপরে বেড়ে গিয়েছে। ৫ অগাস্ট ২০১৯ ক্ল্যাম্পডাউনের এক মাস আগেও কাশ্মীরে বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ১৪.৭৪ শতাংশ কিন্তু পরবর্তী ছয় মাসে ব্যাপকভাবে বেড়ে ২১.০৮ শতাংশে পৌঁছেছে। -কেএমএসনিউজ, পাকিস্তান টুডে, ট্রিবিউন
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইই) রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে বেকারত্বের হার ছিল ২৫ শতাংশ, যা মাসের জাতীয় গড় ৭.৬০ শতাংশের প্রায় তিনগুণ এবং হরিয়ানার ২৬.৭ শতাংশের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সূত্রটি জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব ছিল ৪৬.৩ শতাংশ আর শুধুমাত্র কেরালার সংখ্যা ছিল ৪৭ শতাংশ। জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৭ সালের গড় বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল ১২.৯৮ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১১.৫৬ শতাংশ, ২০১৯ সালে ১৬.২৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ১৫.৭৭ শতাংশ, ২০২১ সালে ১৫.৬৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত ১৭.৩ শতাংশ।
বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ড. ফারজানা বারী একটি মিডিয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, যদিও বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর পরে বেকারত্বের অনুপাত উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে; আইআইওজেকে এর উপর এর প্রভাব আরও স্পষ্ট ছিল। যেহেতু আইআইওজেকে-এর জনগণ ভারতীয় রাষ্ট্র দ্বারা শোষণের শিকার হচ্ছে, তাই বেকারত্বের হার বৃদ্ধি আমার জন্য বিস্ময়কর নয়। কাশ্মীরি জনগণের অধিকার রক্ষা করা তো দূরের কথা, কিন্তু ভারতীয় রাষ্ট্র তাদের মৌলিক অধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন করেছে, ড. বারী পর্যবেক্ষণ করেন।
৫ আগস্ট পালিত হওয়া ইউম-ই-ইসতেহসাল সম্পর্কে ড. বারী বলেন, কাশ্মীরি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করার এবং অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত এবং সেখানকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত নৃশংসতার নিন্দা জানানোর এটাই সঠিক সময়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন