শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইতালির আগাম নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

ইতালিতে গত মাসে মারিও দ্রাঘির সরকার পতনের পর থেকে এর পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে কিনা, সেই নিয়ে বিতর্ক চলছে। দ্রাঘি ইউক্রেন বিষয়ে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে তার জোট সমর্থন এবং ক্ষমতা হারিয়েছেন বলে দাবি করছেন তার দলীয় সমর্থকরা।

যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন যে, দ্রাঘির জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়া স্টার মুভমেন্টের জুসেপ্পে কন্তে, ডানপন্থী দল লিগের মাত্তেও সালভিনি এবং বার্লুসকোনি তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক যৌক্তিকতাকে তুলে ধরেছেন, তবে এই তিন নেতাই পুতিন এবং তার ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সাথে ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য পরিচিত। সালভিনি এবং বার্লুসকোনি উভয়ই ইতালির জর্জিয়া মেলোনির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় ডানপন্থী দল ব্রাদার্স অফ ইতালি প্রতি ব্যাপক সমর্থন দেখিয়েছেন এবং নির্বাচনে জয়ী হলে মেলোনির সাথে জোটবদ্ধ হওয়া নিয়ে ভাবছেন। তবে, ইতালীয় বিশ্লেষকরা বলছেন যে, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হিসাবের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক কারণগুলি গুূরুত্ব পাচ্ছে। বামপন্থী কার্লো ক্যালেন্দার দল আজিওন, যারা নির্বাচনে ডানপন্থীদের সম্ভাব্য বিজয়কে বানচাল করার প্রয়াসে এসপ্তাহে পিডির সাথে একটি নির্বাচনী চুক্তি করেছে, ২৫ সেপ্টেম্বরের ভোটকে ইউরোপের অন্যতম সেরা দেশ ইতালি অথবা (হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট) ভিক্টর অরবান ও পুতিনের মিত্র ইতালির মধ্যে যে কোনও একটি পছন্দের নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে।

এই বিষয়টিই এখন সেপ্টেম্বরের আগাম নির্বাচনী প্রচারণার কেন্দ্র অবস্থান করছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দ্রাঘি রাশিয়া সাথে ইতালির ঐতিহ্যগতভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তিনি ক্রেমলিনের প্রতি ইইউ-এর কঠোর সমালোচকদের অগ্রভাগে ছিলেন। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইইউ সদস্যপদ প্রার্থী হিসাবে ইউক্রেনকে সমর্থন করতে দ্রাঘির কঠোর অবস্থান তার জাতীয় ঐক্য সরকারের সদস্যদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। ফলে সঙ্গত কারণেই দলীয় সমর্থন হারান তিনি। ন্যাটোতে ইতালির সাবেক রাষ্ট্রদূত স্তেফানো স্তেফানিনি বলেন, ‘সালভিনি এবং বার্লুসকোনির মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের স্পষ্টতই রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্ব ও সম্পর্কের অনুভূতি রয়েছে, বিশেষ করে পুতিনের রাশিয়ার সাথে।’

এর আগে, ইতালির পত্রিকা লা স্ত্যাম্পা ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা নথির উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করে যে, রোম-ভিত্তিক রাশিয়ান কূটনীতিক ওলেগ কোস্তুকভ মে মাসে লিগের একজন শীর্ষ প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে দলটি দ্রাঘির মন্ত্রিসভা থেকে মন্ত্রীদের প্রত্যাহার করবে কিনা। তবে সালভিনি লা স্ত্যাম্পার প্রতিবেদনকে ভুয়া খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। মস্কোও এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘এটি সত্য নয়। ইতালির অভ্যন্তরীণ নীতি প্রক্রিয়ার সাথে রাশিয়ার কোন সম্পর্ক নেই।’ সূত্র : দ্য ফাইনান্সিয়াল টাইম্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন