বাংলাদেশে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদেরকে টিকা দিতে এবং দেশের ৭০ শতাংশেরও বেশি নাগরিককে সম্পূর্ণ টিকার আওতায় আনার অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ফাইজারের তৈরি আরো ১৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা অনুদান দিয়েছে। সোমবার (৮ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের সুরক্ষায় টিকা প্রদানের আওতা সম্প্রসারণে সহায়তার জন্য কোভ্যাক্স’র মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রথমবারের মতো শিশুদের জন্য তৈরি ফাইজারের আরও ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন (১৫ লাখ) ডোজ করোনার টিকা অনুদান দিয়েছে। এ সপ্তাহের চালানটি ছোট শিশুদের জন্য অনুদান দেয়া টিকার দ্বিতীয় চালান। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মোট টিকা অনুদানের পরিমাণ দাঁড়ালো ৭৫ মিলিয়ন (৭ কোটি ৫০ লাখ) ডোজ’রও বেশি। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে প্রাপ্ত করোনার টিকা অনুদানের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে।
জাতীয় করোনা টিকা কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫১ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ও অন্যান্য কর্মীদের জন্য নিরাপদ টিকা প্রদান প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় কোভিড-১৯’র টিকা কার্যক্রম গ্রহণে সহায়তা করা। যুক্তরাষ্ট্র ১৮টি ফ্রিজার ভ্যান, ৭৫০টি ফ্রিজার ইউনিট ও ৮হাজার টি টিকা বহন বাক্স অনুদান দেয়ার পাশাপাশি ৪ কোটি ৭০ লাখ টিকা সরাসরি প্রদানের লক্ষ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা পরিবহনে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশে করোনা টিকা বিষয়ে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ১৪ কোটি ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স কার্যক্রমের আওতায় কোভিড-১৯’র টিকার অতি-শীতলীকৃত মজুদ, পরিবহন ও নিরাপদ ব্যবহার-বিধি অনুসরণে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৪০০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯’র টিকা গ্রহণের ন্যায়সঙ্গত সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম দাতাদেশে পরিণত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন