শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নড়িয়ায় প্রেমিকের গায়ে হলুদের খবরে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

নড়িয়া (শরীয়তপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২২, ৩:২০ পিএম

প্রেমিকের গায়ে হলুদের খবর শুনে নড়িয়ার মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের ১০ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নড়িয়া থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মগে প্রেরণ করেছে।

নিহতের মা বাদী হয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে। প্রেমিক পলাতক রয়েছে।

সোমবার রাত ৯ টার দিকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকার মশুরা গ্রামে। স্কুলছাত্রী তার নিজ বাড়িতে বিষপান করে। রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মামি ফারজানা ইসলাম ও নড়িয়া থানা সূত্রে জানা যায়, নড়িয়ার মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকার মশুরা গ্রামের নিজাম খানের মেয়ে নুশরাতের (১৫) সঙ্গে একই উপজেলার ভোজেশ্বর কাঠপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের ছেলে আল আমিনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

আল আমিন তাকে বিয়ে না করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার একজনকে বিয়ে করে। তাদের সোমবার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান ছিল। এ খবর পেয়ে সোমবার রাত ৯টায় নুসরাত তার নিজ ঘরে বিষপান করে। টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৩টার দিকে নুসরাত মারা যায়। মঙ্গলবার পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের মামাতো ভাই বিল্লাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আল আমিনের সঙ্গে নুসরাতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আল আমিন নুসরাতকে বিয়ে না করে অন্য একটি মেয়ে কে বিয়ে করে। এ খবর শুনে নুসরাত বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। আমরা আল আমিনের বিচার চাই।

নিহতের মা বলেন, আমার মেয়ে নুসরাতকে আল আমিন আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে। আমি আমার মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে আল আমিনের বিচার চাই।

মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ফরিদ আল হুসাইন বলেন, আমার স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ১০ শ্রেণির ছাত্রী নুসরাতকে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী আল আমিনের তদন্তপূর্বক বিচার হোক।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন