চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ধর্মপুরে এশার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে ঘরে ফেরার পথে নিজ বাড়ীর সামনেই এক যুবক খুন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ধর্মপুর পেতি বাদশা বাড়ীর মৃত ফজল কবিরের বড়পুত্র (প্রখ্যাত বারেক শেঠের নাতি) আনোয়ারুল আজিম (৪৮) বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম শহর থেকে বাড়ী ফেরে এবং রাত সোয়া আটটায় স্থানীয় আয়নাওয়ালা জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করতে যায়। নামাজ শেষে ইমাম তাবলীগ নেসাব থেকে বয়ান শুরু করায় আজিম একটু বয়ান শুনতে থাকে। বয়ান শেষে ঘরে ফেরার পথে রাত সোয়া ৯টা নাগাদ নিজ বাড়ীর প্রবেশমূখের সামনেই পূর্ব হতে ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে আনোয়ারুল আজিমকে খুন করে পালিয়ে যায়। রাত ১০টায়ও আজিম ঘরে না ফেরায় জন্মদায়িনী উপর্যুপরি ফোন করে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মসজিদের দিকে ছেলের খোঁজে বের হয়। দু'শ গজ গেলেই বাড়ীর রাস্তার মাথায় মায়ের পা উষ্ঠা খায় ছেলের নিথর দেহ। মূহুর্তেই মা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী রক্তাক্ত আজিমকে উদ্ধার করে রাউজান গহিরা জেকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে এবং সন্দিগ্ধ দু'জনকে আটক করেছে। নিহত আজিম ২০০৯ সালে ধলই ইউপির আবু তাহের সওদাগর বাড়িরং মৃত লোকমান চৌধুরীর কন্যা মরিয়ম বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের ২ মেয়ে মেহজাবিন মুসকান (১২) ও মেহরুননিছা মিশকা (৭) এবং ১ ছেলে আনোয়ারুল আবির (৫) রয়েছে। বিনয়ী, নামাজি, শান্ত-শিষ্ট আনোয়ার আজিম নিহত হবার ঘটনায় এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এলাকাবাসী জানান, আজাদী বাজারে জনৈক ইলিয়াসগং কর্তৃক তাদের জায়গা ও মার্কেট দখল নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য- নিহত আনোয়ারুল আজিম লন্ডনস্থ বৃহত্তর ফটিকছড়ি সমিতি এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি ও ফটিকছড়ির ধর্মপুরের কৃতিসন্তান মোঃ ইসহাক চৌধুরীর নিকটাত্মীয় (নাতি) হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন