সুষ্ঠু ও নির্বিঘেœ গুচ্ছ পদ্ধতিতে অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয়ের পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) ¯œাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে যবিপ্রবিতে আসন পড়ে ৪ হাজার ১১৫ জন শিক্ষার্থীর। এরমধ্যে যবিপ্রবিতে ৯৫ দশমিক ১৩ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছেন বলে পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে জানানো হয়, গত ৩০ জুলাই ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে ‘এ’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) ‘বি’ ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২০ আগস্ট ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে যবিপ্রবি কেন্দ্রে জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, কারোর কোথাও অসুবিধার কথা শুনিনি। এমনকি যাঁরা সিকবেডে পরীক্ষা দিয়েছে, তাঁদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে জিএসটি আরও শক্তিশালী হবে। আশা করি, দেশের সকল বিশ^বিদ্যালয় একযোগে এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবেন, দুর্ভোগ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন, তাদের কষ্ট অনেক লাঘব হবে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি যবিপ্রবির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে যবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যশোরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতি, সহায়ক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যবিপ্রবির জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি থেকে জানানো হয়, যবিপ্রবির তিনটি ভবন ও যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সকল ভবনের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি কেন্দ্রে অবৈধ ডিভাইস শনাক্তে শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে গঠিত ১০ সদস্যের স্ট্রাইকিং ফোর্সও দায়িত্ব পালন করেন।
ভর্তি পরীক্ষার সময় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন