ভারত কার্যত আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে এক ব্যাচ কূটনীতিককে কাবুলে ফেরত পাঠাচ্ছে।
তালেবান সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রয়াস ভারত আরো আগে শুরু করেছে। পর্দার অন্তরালে আলাপের পর গত জুনে ভারত সরকার তাদের একটি কারিগরি দলকে কাবুল পাঠিয়েছিল। এর আগে ভারতের এক সিনিয়র কূটনীতিক আফগান রাজধানী সফর করে অন্তর্বর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
আফতান তালেবান সরকার ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে এটি ছিল প্রথম সরকারি বৈঠক।
অথচ অতীতে আফগান তালেবানের কট্টর বিরোধী ছিল ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অনুরোধ সত্ত্বেও দোহায় তালেবানের সাথে আলোচনায় সম্পৃক্ত হতে অস্বীকার করেছিল ভারত।
উল্লেখ্য, হামিদ কারজাই ও আশরাফ গানির আমলে আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছিল ভারত। আর এই সম্পর্ক পাকিস্তান ভালোভাবে নেয়নি।
পাকিস্তান সন্দেহ করত যে তাদের নিরাপত্তা স্বার্থ ক্ষুণ্ন করতে আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করছে ভারত।
কাবুলে তালেবান দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ভারত তার দূতাবাস ও অন্যান্য কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করে দেয়। তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও পরিত্যক্ত করে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য অনেক দেশ তালেবানের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় নতুন বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন যে একদল কূটনীতিককে কাবুলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে রাষ্ট্রদূত যাচ্ছেন না।
ভারতের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে আফগান তালেবান সরকার। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাবুলে কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর ভারতীয় পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে আফগানিস্তান। তিনি তাদের সাথে সহযোগিতার আশ্বাসও দেন।
অতীতে আফগানিস্তানে ভারতের সম্পৃক্ততার আপত্তি জানাত পাকিস্তান। তবে এবার পাকিস্তান কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে এক কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, আফগান তালেবানের সাথে ভারতের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় কোনো আপত্তি নেই পাকিস্তানের।
ওই কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে বলেন, পাকিস্তানের স্পর্শকাতরতার ব্যাপারে আফগান তালবান অবগত রয়েছে। তারা ইসলামাবাদের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কিছু করার অনুমতি দেবে না।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন