সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দু-দিন সাপ্তাহিক ছুটির সাথে এবার যোগ হয়েছে জন্মাষ্টমির সরকারি ছুটি। তাই পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় করছেন হাজারও পর্যটক। সৈকতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রচুর পর্যটক সমুদ্র সৈকতে দেখা যাচ্ছে।উপভোগ করছেন সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ।
কুয়াকাটার একাধিক পর্যটন স্পট পর্যটকদের পদচারনায় সরগরম হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে ৮০ -৯০ শতাংশ হোটেল মোটেল কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েগেছে বলে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
কুয়াকাটা টুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কুটুম) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন,প্রতিবছরের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যেত। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকে ভিড় একটু বেশি দেখা য়ায়।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আব্দুর রহমান বলেন,কুয়াকাটা ব্যাপক পর্যটক দেখা যাচ্ছে।সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ দেখে অনেক ভালো লাগছে। এবার আমরা একটু বেশি আনন্দ পেয়েছি।ঢাকা থেকে খুব কম সময় কুয়াকাটা আসতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, ইতোমধ্যে হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট গুলোর ৮০-৯০ ভাগ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটরের সমাগম হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, টানা তিনদিন বন্ধের আজ দ্বিতীয় দিন। আমাদের কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রতিকার ঘটনা ঘটেনি। সব মিলিয়ে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে কুয়াকাটা ভ্রমণ করছে পর্যটকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন