মো.শরীফুল ইসলাম, সখিপুর থেকে : টাঙ্গাইলের সখিপুরের কুতুবপুর বাজার থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উঠতে গোড়াই স্টেশন পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার সড়কে কমপক্ষে ১৫টি স্থানে সড়কের ওপর হাট-বাজার বসায় যাত্রীরা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়কের ওপর হাট-বাজার বসার কারণে অহেতুক যানজটে চলাচলকারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। একই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনা।
সখিপুর-ঢাকা-টাঙ্গাইল-সাগরদীঘি মহাসড়কের কাকরাইদ, মোটের বাজার, গারোবাজার, সাগরদীঘি, জোড়দীঘি, কুতুবপুর, বড়চওনা, কালিয়া, কচুয়া, বোয়ালী, নলুয়া, তক্তারচালা, দেওদীঘি, বাঁশতৈল, কাইতলা, হাঁটুভাঙ্গা, গোড়াই প্রভৃতি স্থানে মহাসড়কের ওপর হাট বসে। এ হাট বসায় প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে যানজট লেগে থাকে।
সখিপুর-সাগরদীঘি-হাঁটুভাঙ্গা মহাসড়কের দেওদীঘি বাজারে বিশাল বাঁশের হাট, কুতুবপুর বাজারে কলার হাট, কাইতলা বাজারে বৃহত্তর ময়মনসিংহের মধ্যে অন্যতম পশুর হাট, তক্তারচালা বাজারে রেডিমেট ফার্নিচারের হাট, গারোবাজার এবং বড়চওনায় আনারস,কলা,মরিচ,বেগুন,করলা,মূলা, আদা-হলুদসহ কাঁচা পণ্যের বিশাল হাট বসে। সড়কের ওপর বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে চলছে বেচাকেনা। প্রতিদিনই এ সড়কের ১০/১২ স্থানে বসে সাপ্তাহিক হাট। সড়কের ওপর হাট বসায় রোগীবাহী অনেক গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা পড়ে। এতে সময়মত স্বজনরা রোগীদের হাসপাতালে নিতে বিড়ম্বনার শিকার হন। এ ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যানজটের কবলে পড়ে।
সংশ্লিষ্ট হাট-বাজারগুলোর ইজারাদাররা জানান, স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় রাস্তাতেই বসে পড়েন পণ্য বিক্রেতারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন