সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ আ’লীগের ৩জন প্রভাবশালী প্রার্থী রয়েছে। এদের অবস্থান আ’লীগ মনোনীত প্রার্র্থীর চেয়ে শতগুনে ভালো বলে জানিয়েছে আ’লীগের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারগণ। যে কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছে আ.লীগের দলীয় প্রার্থীরা। অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিদ্রোহী প্রার্থীগণ আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে চৌগুন বেশি ভোট পাবে বলে স্ব স্ব ইউনিয়নের আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীগণ জানান। কাকড়াজান ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ-এখানে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. দুলাল হোসেন। কালিয়া ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুল হাসান উরফে হারেচ বিএসসি-আর আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. জামাল মিয়া ও বহেড়াতৈল ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সোহেল রানা সরকার-আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. গোলাম ফেরদৌস। কালিয়া, কাকড়াজান, বহেড়াতৈল ইউনিয়নের আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল, দুলাল, ফেরদৌস বলেন, আগামী ২৮ মে ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হলে এবং ভোটারগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে তারা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন, আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকার কোন নাম গন্ধও থাকবে না। দুলাল হোসেন কাঁকড়াজান ইউনিয়নের বিগত নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন এবং ঐ সময়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবার নির্বাচন করছেন না, সেদিক থেকে ভোটারদের মাঝে ইতিমধ্যেই তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। কালিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল মিয়া টাঙ্গাইল জেলায় দু’বার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং ক্লিন ইমেজের লোক হিসাবে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। বহেড়াতৈল ইউনিয়নে আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম ফেরদৌস স্থানীয় এমপি’র বড় ভাই(ফুফাত) এবং এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জু ও মাঠ পর্যায়ের আ’লীগের নেতা-কর্মীরা তার পক্ষেই কাজ করছে। আ’লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের রোড লেবের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে ইউনিয়নে জনপ্রিয় ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছে-সিনিয়র নেতারা ভুল করলে আমরাতো ভুল করতে পারি না। আমরা যোগ্য, জনপ্রিয় ব্যক্তির নির্বাচন করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন