রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ বলেছেন, "উদীয়মান সুযোগের" সদ্ব্যবহার করে বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও বৈচিত্র্যময় করার জন্য রাশিয়া ও ভারত উভয়ের আগ্রহ বাড়ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানিতে ভারতের সমালোচনা করছে এবং তাদের "নিজেদের অবৈধ নিষেধাজ্ঞাগুলি" থেকে নিজেদেরকে অব্যাহতি দিয়েছে, তা তাদের নীতিহীন অবস্থান এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বৈত মানদণ্ডের প্রতিফলন।–ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
পিটিআই-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকটি বড় অর্থ লেনদেনের ব্যবস্থা রয়েছে। এশিয়ার সুনির্দিষ্ট "অংশীদারদের" সাথে তৃতীয় দেশের মুদ্রা ব্যবহার করার একটি বিকল্প এবং মধ্যপ্রাচ্যে কার্যকর অফার রয়েছে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়া ভারতের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান উৎস ছিল না কিন্তু অনেক পশ্চিমা দেশের রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা সত্ত্বেও ছাড় দেওয়া রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের আমদানি গত কয়েক মাসে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, পশ্চিমে যারা ভারতের সমালোচনা করে, তারা কেবল এই বিষয়ে চুপ করে থাকে না যে, তারা নিজেদের অবৈধ নিষেধাজ্ঞা থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়ে সক্রিয়ভাবে রাশিয়ান জ্বালানি কিনেছে, তবে অন্যথা দাবি করার সময় তারা স্পষ্টভাবে তাদের নীতিহীন অবস্থান এবং দ্বিগুণ মান প্রদর্শন করে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ক্ষমতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে "তুষ্ট" করার সময় ইউরোপ তার স্বাধীন কণ্ঠস্বর "সম্পূর্ণভাবে হারিয়েছে" এবং এখন বিশ্বের বাকি অংশে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সূচনা করে তার অর্থনৈতিক লাভ বজায় রাখার চেষ্টা করছে। আলিপভ জিজ্ঞাসা করেন, কি কারণে তাহলে ভারতকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে?
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলির কোনও প্রভাব নেই। এই বছরের প্রথম ছয় মাসে বাণিজ্যের পরিমাণ ১১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেকর্ড করেছে, যা ছিল ২০২১ সালে (এক বছরে) প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। আমাদের বিশ্বাস করার কারণ আছে যে, এই বছরের শেষ নাগাদ আমরা একটি ঐতিহাসিক রেকর্ডে পৌঁছে যাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন