শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বান্দরবানের মায়ানমার সীমান্তে ফের গুলাগুলি, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে

বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:১৪ পিএম | আপডেট : ৪:৫২ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বান্দরবানের মায়ানমার সীমান্তে ফের গুলাগুলিতে আতংকিত এলাকাবাসী। বাংলাদেশের বান্দরবানের সীমান্তের ভেতর মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ২টি গোলা এসে পড়েছে । আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় ২ টি গোলা এসে পড়ে। এতে এলাকাবাসীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে গত রোববার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের উত্তর পাড়া এলাকায় মসজিদের পাশে মায়ানমার থেকে দুটি মর্টার শেল এসে পড়েছিল। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কে ড়েকে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টায় রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২টি যুদ্ধবিমান এবং ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার আগমন করে। এ সময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক ১০ থেকে ১১২টি গোলা ফায়ার করা হয় এবং হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি ফায়ার করতে দেখা যায়।

সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১৩০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ বিমান থেকে ফায়ারকৃত ২টি গোলা পতিত হয়।

এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি মিয়ানমার ২ বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে কয়েক রাউন্ড ভারি অস্ত্রের ফায়ার করে যা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলমান রয়েছে। এমনকি মিয়ানমার মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ার চলছে।

কোনো প্রকার হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও এরূপ গোলাগুলির শব্দে এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সপ্তাহ দুয়েকের বেশি সময় ধরে সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াই লড়ছে। আজ সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়। সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে দেখা যায়। এরপর বাংলাদেশের সীমান্তের মধ্যে ২ টি গোলা এসে পড়ে।

সেনাবাহিনী ও বিজিবি সুত্র জানায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রক্ষায় সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বান্দরবান পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ বিষয়টি নজরদারি রাখছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন