কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অবস্থিত দুটি সরকারি গাছ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করলেন ইউপি চেয়ারম্যান। রবিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে অবস্থিত গোডাউনের পাশে দুটি লম্বু গাছ কেটে কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করার খবরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস জানান, ফাইল না দেখে বলা যাবে না। তবে প্রয়োজন হলে বিধি অনুযায়ী বিক্রি করা যেতে পারে। কিন্তু নিয়ম না মেনে বিক্রি করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, দুজন মিস্ত্রী করাত দিয়ে গাছ কর্তন করছেন। কারা অনুমতি দিয়েছে জানতে চাইলে তাদের একজন সুভাস চন্দ্র জানান, কাঠ ব্যবসায়ী ছায়েদ আলী তাদেরকে গাছ কাটতে পাঠিয়েছে। এর বেশী কিছু জানেন না বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে কাঠ ব্যবসায়ী ছায়েদ আলী জানান, এলাকার অপর কাঠ ব্যবসায়ী মিল্টনের মারফৎ ৫ হাজার টাকা রফায় গাছ দুটি কিনেছি।
এ ব্যাপারে কাঠ ব্যবসায়ী মিল্টন মিয়া জানান, চেয়ারম্যানসহ তিনজন ইউপি সদস্যের কাছ থেকে মধ্যস্থতা করে ছায়েদের কাছে ৫ হাজার টাকায় গাছ দুটি বিক্রি করা হয়েছে।
গাছ কাটার ব্যাপারে ইউপি সচিব সফিকুল ইসলাম জানান, গাছ বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি যতটুকু জানি ওই জায়গায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াস ব্লক হওয়ার কথা।
গাছ বিক্রির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে নাওডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাছেন আলী জানান, পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই স্থানে ওয়াস ব্লব নির্মাণের কথা রয়েছে। বিষয়টি মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা আছে। কিন্তু কারা গাছ কেটেছে বা বিক্রি করে দিয়েছে তা আমার জানা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন